‘টকে যাওয়া মানুষদের অপছন্দ’! তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে কাকে খোঁচা নুসরতের?
Nusrat Jahan: কেন নুসরতকে প্রার্থী করা হল না এবারে? সন্দেশখালিতে ইডি, কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর হামলার পর থেকে সামনে আসে এলাকার বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহানের নাম। শোনা যায় এই শাহজাহানের বাহুবলেই ভোটে জিতে এসেছিলেন নুসরত।
মিমি চক্রবর্তী জানিয়েছিলেন, তিনি আসন্ন লোকসভা ভোটে প্রার্থী হতে চান না। রবিবার ব্রিগেডের মঞ্চে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের দিন মিমির ইচ্ছেকেই সম্মান জানিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। কিন্তু বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহান? এমন কোনও মন্তব্য তাঁকে করতে দেখা যায়নি এযাবৎ। রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে চান, বলেননি এমন কিছুও। তাও লোকসভা ভোটে তৃণমূলের টিকিট এবারে পেলেন না নুসরত। ব্রিগেডের মঞ্চেও এ দিন তিনি ছিলেন অনুপস্থিত। টিকিট না পাওয়া নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে বারংবার যোগাযোগের চেষ্টা হলেও নুসরত অধরা। তবে রবিবার রাত থেকেই সামাজিক মাধ্যমে একের পর কে পোস্ট করছেন তিনি, যার ক্যাপশনগুলি খানিক অর্থবহ বলেই মনে করছেন নেটিজেনদের একটা বড় অংশ। এই যেমন রবিবার রাত বাড়তে নুসরত নিজের এক ছবি শেয়ার করে লিখেছিলেন, “আবারও শক্তি সঞ্চয় করে নিচ্ছি, বাকি সপ্তাহটার জন্য”। অন্যদিকে এ দিন অর্থাৎ সোমবার নুসরত লেখেন, “টকে যাওয়া মানুষের থেকে ‘সাওয়ার ডো’ আমি বেশি পছন্দ করি”। কী এই সাওয়ার ডো? এটি এমন এক ধরনের পাউরুটি যা তৈরি করতে কৃত্তিম ভাবে ইস্টের দরকার হয় না। পরিবর্তে গ্যাঁজলা ওঠা ময়দা ও জলের মিশ্রণে যে ভাল ব্যাকটেরিয়ার জন্ম হয় তা থেকেই তৈরি হয় এই সাওয়ার ব্রেড বা ডো। একটু টকটক খেতে হয় এই পাউরুটি। বেশ খানিক চিবিয়ে খেতে হয়।
View this post on Instagram
আপাত দৃষ্টিতে এই পোস্ট অতি সাধারণ মনে হলেও কালকের নানা ঘটনা সমূহকে এক করে অনেকেই বলছেন, এভাবেই যেন না বলেও অনেক কিছু বলে দিচ্ছেন বসিরহাটের সাংসদ। কেন নুসরতকে প্রার্থী করা হল না এবারে? সন্দেশখালিতে ইডি, কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর হামলার পর থেকে সামনে আসে এলাকার বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহানের নাম। শোনা যায় এই শাহজাহানের বাহুবলেই ভোটে জিতে এসেছিলেন নুসরত। অভিনেত্রীকে ভোটে জেতানোর ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন। ভোটের সময় নাকি এলাকা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব থাকত এই শাহজাহানের উপরেই। শাহজাহানকে কেন্দ্র করে সন্দেশখালি উত্তাল তখন একবারের জন্যও সেখানে যাননি খোদ সাংসদ। এমনকি কেন জাননি, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলেও সন্তোষজনক উত্তর দিতে দেখা যায়নি তাঁকে। বরং ধারা ভুল বলায় হয়েছিলেন সমালোচিতও।
যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষও সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেছিলেন, “নুসরত জাহানের সন্দেশখালির মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত ছিল। একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাঁর যাওয়া দরকার ছিল।” সে কারণেই কি তৃণমূল ‘রিস্ক’ নিলেন না এবার? বাদ পড়লেন নুসরত? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা তেমনটাই। নুসরতের বদলে এবার বসিরহাটের প্রার্থী হচ্ছেন ‘ঘরের ছেলে’ নুরুল ইসলাম।