‘অনেক দিন পর আমার একটা ছবির ৫০ দিন হলো’, বললেন পার্নো

'অঙ্ক কি কঠিন' তিন খুদের স্বপ্ন দেখার গল্প। ছবির প্রধান মুখ এমন খুদেরা হলে, বক্স অফিসে সেই ছবি আদৌ সফল হবে কিনা, তা নিয়ে আশঙ্কা থাকে। ছবি মুক্তির প্রথম সপ্তাহে প্রাইমটাইমে শো পেতেও সমস্যা হয়। তবে সব কিছু পেরিয়েই বক্স অফিসে ৫০ দিন সম্পূর্ণ  করল 'অঙ্ক কি কঠিন'।

অনেক দিন পর আমার একটা ছবির ৫০ দিন হলো, বললেন পার্নো

| Edited By: Bhaswati Ghosh

Jul 12, 2025 | 1:48 PM

‘অঙ্ক কি কঠিন’ তিন খুদের স্বপ্ন দেখার গল্প। ছবির প্রধান মুখ এমন খুদেরা হলে, বক্স অফিসে সেই ছবি আদৌ সফল হবে কিনা, তা নিয়ে আশঙ্কা থাকে। ছবি মুক্তির প্রথম সপ্তাহে প্রাইমটাইমে শো পেতেও সমস্যা হয়। তবে সব কিছু পেরিয়েই বক্স অফিসে ৫০ দিন সম্পূর্ণ  করল ‘অঙ্ক কি কঠিন’। রাণা সরকার প্রযোজিত এই ছবির পরিচালক সৌরভ পালোধী। এই বছরের স্লিপার হিট ছবি তৈরি করার চ্যালেঞ্জটা কেমন ছিল? TV9 বাংলাকে সৌরভ জানালেন, ”সত্যি কথা বলতে ছবিটা ব্যবসায়িক সাফল্য পাবে, সেটা মাথায় রেখে তো তৈরি করিনি। সেভাবে ছবি তৈরি করা যায় কিনা, সেটাও আমার জানার বাইরে। এটা আসলে দর্শকের উপর নির্ভর করে। তবে ২০২৪-এ যখন বিভিন্ন ফেস্টিভ্যালে ছবিটা দেখানো হয়েছিল, তখন ৯৯ শতাংশ অবাঙালিদের থেকে ভালো সাড়া পেয়েছিলাম। তা-ও একটা ভয় কাজ করেই, ছবিটা ঘরের মাঠে ভালো ফল করতে পারবে কিনা, তা নিয়ে। ছবি মুক্তির সময়ে বিরাট প্রচারপর্ব চলেছে এমন নয়। বা ছবিতে এমন কোনও তারকা নেই যে, তাঁকে দেখার জন্যই প্রথম সপ্তাহান্তে ভিড় হয়ে যাবে। চলতি কথায়, দর্শকদের খুশি করার যে উপাদান, সেগুলো ছবিতে নেই। তা-ও পুরোটা স্বপ্নের মতো লাগল যে, আমাদের সেই অর্থে কিছু করতে হয়নি। দর্শকই দর্শককে দায়িত্ব নিয়ে দেখালেন এই ছবি। সেটাই ছবিটার জয়।”

অপেক্ষাকৃত নতুন পরিচালক, যাঁরা অন্যধারার ছবি তৈরি করতে চাইছেন, তাঁদের এই ছবির পথচলা সাহস জোগাতে পারে বলে মনে করছেন সৌরভ। সৌরভ এ কথাও জানালেন, প্রযোজক রাণা সরকার ছবি হিট করানোর জন্য তাঁকে কোনও প্যারামিটারে বাঁধেননি। বরং একেবারে স্বাধীনভাবে কাজ করেছেন সৌরভ। সৌরভ যোগ করলেন, ”আমি এতটা আশা করিনি। আমার প্রিয় ছবি ‘মানিকবাবুর মেঘ’ যখন দর্শকরা দেখলেন না, সেখানে এই ছবিটা দর্শক দেখেছেন। আমি অবাক আর আনন্দিত।”

পার্নো মিত্র নামী অভিনেত্রী। তিনি বাংলা ছবিতে থাকলে, তাঁর কাজ দেখার বাড়তি আগ্রহ থাকে দর্শকদের মধ্যে। পার্নো বলছেন, ‘অনেক দিন পর আমার কোনও ছবি সিনেমাহলে ৫০ দিন করল। ছবিটার সঙ্গে যাঁরাই জড়িত, আমি তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ। ছবির প্রধান তিন মুখ, খুদেরা হয়তো নাও বুঝতে পারে বক্স অফিসে এই ৫০ দিন সম্পূর্ণ করার কী গুরুত্ব। আমরা জানি, এমন একটা ছবি মুক্তির জন্য জায়গা পাওয়াই কতটা কঠিন। বড় ছবির মধ্যে ছবিটা হারিয়ে যাবে কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। তাই আজকে মনে হচ্ছে, এটা আমাদের জয়। শুধু ৫০ দিন সম্পূর্ণ হলো বলে নয়, এরকম করে যদি বাংলা ছবি দর্শকের ভালো লাগে, তা হলে সামনের দিনগুলো নিয়ে আশাবাদী হতে পারি।”