না উইকেন্ড নয়, সোমবারের রাত। শহরের নিশিঠেকে বসেছিল ‘আবার প্রলয়’-এর সাকসেস পার্টি। রাজ চক্রবর্তীর প্রথম ওয়েব সিরিজের সাফল্য উদযাপন করতে হাজির ছিল প্রায় গোটা টলিউড। হাজির ছিলেন কৌশানী মুখোপাধ্যায়ও। সিরিজে তিনি মোহিনী মা, ওরফে মণি। সিরিজের সিংহভাগই আবর্তিত হয় তাঁকে ঘিরেই। এই ছবিতে কৌশানী ছকভাঙা। গ্ল্যামারাস লুক নেই, কথা বলায় আড়ষ্টতা নেই। একেবারে সাদামাঠা ভাবে হাজির হয়েছেন তিনি। তাঁর অভিনয় চমকে দিয়েছে গোটা ইন্ডাস্ট্রিকেই।
গতকাল অর্থাৎ সোমবার রাতে কৌশানী কিন্তু এলেন লাল রঙের পোশাকে, পুরোদস্তুর গ্ল্যামারাস লুকেই। পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। সেখানেই জমিয়ে নাচলেন দু’জনে। ‘লড়কি আঁখ মারে’ থেকে ‘সিটি বাজায়ে’ রাজ-কৌশানীর নাচ দেখে তাজ্জব সকলেই। শুভশ্রীও হাজির ছিলেন। তবে সেলিব্রেশন থেকে নিজেকে কিছুটা দূরেই রেখেছিলেন তিনি। এই মুহূর্তে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা তিনি। সে কারণে নাচে ‘না’ তাঁর।
তবে কৌশানী-রাজের নাচ দেখে নেটিজেনরাও রসিকতা করতে ছাড়েননি। পরিচালকের উদ্দেশে তাঁরা লিখেছেন, “এত ক্লোজ, বউ মারবে তো”। হাজির ছিলেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে সন্দীপ্তা সেন, ছিলেন বনি সেনগুপ্ত, গৌরব চক্রবর্তী ও রিদ্ধিমা ঘোষও। দেখা গিয়েছিল পরিচালক অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরীকেও। রাত বাড়তেই নিয়ে আসা হল এক মস্ত বড় কেক। তা কাটতে গিয়েই কৌশানীর চোখের কোন যেন করে উঠল চিকচিক! ওই কান্না কি আনন্দের? এতদিন ইন্ডাস্ট্রি তাঁকে ‘আই ক্যান্ডি’ হিসেবেই ব্যবহার করে এসেছে। তবে রাজ চক্রবর্তীই প্রথম ছক ভাঙলেন। তাঁকে দেখা গেল ডি-গ্ল্যামার লুকে। এই পরীক্ষানিরীক্ষায় মোটের উপর সফল তাঁরা। সাকসেস পার্টিতে এসে সেই কথাই কি বারেবারে মনে পড়ছিল তাঁর? প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।