খান পরিবারের মেজো ছেলে আরবাজ খান। দাদা সলমন খান সুপারস্টার। বাবাও তারকা। দাদার মতো সুপারস্টার তকমা মেলেনি তাঁর। নেতিবাচক চরিত্র দিয়েই কেরিয়ার শুরু করতে হয়েছিল তাঁকে। কেরিয়ারের প্রথমেই নেতিবাচক একটি চরিত্র কেন নিয়েছিলেন আরবাজ? মুখ খুলেছেন তিনি। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আরবাজ বলেন, “সে সময় সুযোগ অনেক কম ছিল। মাত্র কয়েকজন পরিচালক ছিলেন যাদের সঙ্গে অভিনেতারা কাজ করতে চাইতেন। সত্যি কথা বলতে আমি একটা কাজের অপেক্ষায় ছিলাম।” তিনি যোগ করেন, “আমার ঘাড়েও দায়িত্ব ছিল। আমার বাবা কাজ পাগল ছিলেন। আমার ভাই সলমন ততদিনে বড় স্টার হয়ে গিয়েছে।” আর সে কারণেই নিজেকে আর সময় দেওয়ার মতো সময় ছিল না তাঁর কাছে। তিনি আরও বলেন, “ইন্ডাস্ট্রিতে সাধারণত ২১ থেকে ২২ বছরে সবাই কেরিয়ার শুরু করে দেয়। যদি বয়স প্রায় ৩০-এর কাছে চলে যায়, তাও কেউ কাজ শুরু না করলে সমস্যা। কাজ করা, রোজগার করার চাপ সবার উপরেই থাকে। আমি দেখলাম ছবিটা ভাল, তাই নেতিবাচক চরিত্র হলেও রাজি হয়ে গিয়েছিলাম।”
আরবাজের সঙ্গে বারেবারেই তুলনা হয়েছে তাঁর দাদার। দাদার মতো তিনি প্রতিষ্ঠিত হতে পারেননি, সে কারণেই নানা সময়ে চলেছে নানা ধরনের কটাক্ষ। বারেবারেই আতসকাচে এসেছে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনও। মালাইকা অরোরার সঙ্গে তাঁর প্রেম টেকেনি। ২০১৬ সালে বিচ্ছেদের ঘোষণা করেন মালাইকা ও আরবাজ। ২০১৭ সালে অফিসিয়ালি ডিভোর্স হয় তাঁদের। বর্তমানে দুজনেই জীবনে অনেকখানি এগিয়ে গিয়েছেন। মালাইকা বেশ কিছু বছর ধরে অর্জুন কাপুরের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন। অন্যদিকে আরবাজও ডেট করছেন মডেল জর্জিয়া আন্দ্রিয়ানিকে। জর্জিয়া ও মালাইকার সম্পর্কও বেশ ভাল। মালাইকা ও আরবাজের এক সন্তানও রয়েছে। নাম আরহান– বাবা ও মা দুজনে মিলেই মানুষ করেন ছেলেকে। দাম্পত্য ভেঙে গেলেও আজও তাঁরা বন্ধু, অন্তত এমনটাই দাবি দুজনের। সম্প্রতি নিজের এক চ্যাট শো-ও শুরু করেছেন আরবাজ। সেই শো’য়ে হাজির ছিলেন তাঁর সৎমা হেলেন।