Malaika-Arbaaz: অতীত ভুলে আমি আর মালাইকা আবার একসঙ্গে…: আরবাজ খান
Malaika-Arbaaz : বিচ্ছেদ হয়েছিল বেশ কিছু বছর আগেই। সম্পর্কের অবনতিও হয়েছিল অনেকটাই। কথা ছিল বন্ধ। তবে তিক্ততা মিটেছে মালাইকা অরোরা ও আরবাজ খানের।
বিচ্ছেদ হয়েছিল বেশ কিছু বছর আগেই। সম্পর্কের অবনতিও হয়েছিল অনেকটাই। কথা ছিল বন্ধ। তবে তিক্ততা মিটেছে মালাইকা অরোরা ও আরবাজ খানের। আবার তাঁরা একসঙ্গে। তবে এই একসঙ্গে থাকার পিছনে একটা কারণ রয়েছে, এক সাক্ষাৎকারে জীবন, মালাইকা, প্রেম নিয়ে অকপট আরবাজ। খান পরিবারের প্রেম নিয়ে রয়েছে নানা রটনা। পরিবারে নাকি প্রেম টেকেনা। যেমন টেকেনি সলমন, আরবাজ অথবা সোহলের। ওদিকে তাঁদের তিন ভাইয়ের বাবা সেলিম খান বিবাহিত অবস্থাতেই প্রেমে পড়েন হেলেনের। বিয়েও করেন তাঁরা। আরবাজের কথায়, “আমার বাবার সময়ে প্রেম-সম্পর্কে সংজ্ঞাটা খানিক অন্যরকম ছিল। বাবার কেরিয়ার শুরুই হয়নি তখনই তাঁর তিন সন্তান হয়ে গিয়েছে। এখন কিন্তু এরকম নয়। সবাই নিজের বাড়ি, অর্থ এইগুলিকে বিচার করেই সন্তানের জন্ম দেয়। আগে মানুষ প্রেমের জন্য অন্ধ হয়ে যেত। আগে বাবারা সন্তানকে সময় দিতে পারত না কারণ তাঁরা তখনও কেরিয়ার তৈরি করছেন। কিন্তু এখন কোনও পুরুষ কেরিয়ার তৈরি না করে বিয়ে করে ফেলল এমনটা হয় কী? কোনও মেয়েই কি তাঁকে বিয়ে করবে।” তাঁর মানে আজকের যুগে ভালবাসাই সবটা নয়? সে উত্তরও দিয়েছেন আরবাজ। তাঁর কথায়, “ভালবাসা এক জায়গায়, কিন্তু আপনাকেও তো বুঝতে হবে এই মানুষটার সঙ্গে সারাজীবন একসঙ্গে কাটাতে হবে।”
আর মালাইকা? কেন তাঁর কাছে আবারও ফিরে আসা? আরবাজের উত্তর, “আমাদের সমস্যা থাকতেই পারে। কিন্তু সন্তান তো কখনও সমস্যার বস্তু হতে পারে না। তাই অতীত আমরা ভুলে গিয়েছি। নিজেরাও বুঝেছি যে আমাদের বাকি জীবনটা পড়ে আছে। ও সামনের দিকে এগিয়ে গিয়েছে। আমিও এগিয়ে গিয়েছি। কিন্তু আমাদের ছেলেটা তো রয়েছে। ওকে তো আমরাই এনেছি এই দুনিয়ায়। তাই তিক্ততা ভুলে আমাদের এক হওয়া।” মালাইকার সঙ্গে এখনও যোগাযোগ আছে আরবাজের। ছেলের পড়াশোনা থেকে কেরিয়ার– এ সবেতেই রয়েছে দুজনেরই নজর। আরবাজের কথায়, “যদি ওর ফোন ব্যস্ত থাকে, তবে পরের মানুষটি যাকে আমি ফোন করব তিনি আমার প্রাক্তন স্ত্রী মালাইকা অরোরা।”
১৮ বছরের বিবাহিত জীবন ছিল মালাইকা অরোরা ও আরবাজ খানের। ভালবাসার বিয়ে, তবে এই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে হয়েছিল চটজলদি। সলমনের ভাই নয়, বরং তাঁকেই বিয়ের প্রস্তাব দেন খোদ মালাইকা। হঠাৎ করেই বলে বসেন, ‘আমায় বিয়ে করবে’? নেপথ্যে ছিল এক বিশেষ কারণ। এক সাক্ষাৎকারে মালাইকা জানান, যখন তিনি বিয়ে করেন তখন তাঁর বয়স নেহাতই অল্প। তাঁর কথায়, “অনেকই হয়তো জানেন না, প্রেম প্রস্তাব আমিই দিয়েছিলাম। ” মালাইকা যোগ করেন, “আমি ওকে গিয়ে বলি, আমি বিয়ে করতে চাই। তুমি আমায় বিয়ে করবে?” হালকা হেসে আরবাজ বলেছিলেন, “কোথায় আর কবে সেইটা শুধু বল”। কেরিয়ার সবে শুরু করেছিলেন মালাইকা, কেন বিয়ে করলেন তাড়াতাড়ি? তাঁর উত্তর, “ওই বাড়িটা থেকে বের হতে চেয়েছিলাম। ব্যস, আর কিচ্ছু না”। আজ তাঁরা প্রেমে নেই, আছেন দায়িত্বে, একসঙ্গে ছেলেকে মানুষ করাই লক্ষ্য তাঁদের। নিজেদের ব্যক্তিগত জীবন এগিয়ে চলেছে নিজস্ব নিয়মে। কিন্তু রেষারেষি, আর নেই তাঁদের।