ওটিটিতে ১৮ দিন পার হয়ে গিয়েছে বিগবসের এই নতুন সিজনের। একদিকে যেমন মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে বিতর্ক। ঠিক তেমনি প্রতিনিয়ত বদলাচ্ছে সম্পর্কের সমীকরণের রঙ। এ বার বিগবসের ঘরে বিশেষ ক্ষমতা পেলেন নেহা-ভাসিন ও প্রতীক সেহেজপাল। নির্বাচিত হলেন বস লেডি ও বস ম্যান হিসেবে। আর এই বিশেষ ক্ষমতা পাওয়ার পিছনে দর্শকের হাত ছিল অনেকটাই।
দর্শকই বেছে দিয়েছিলেন হয় অক্ষরা-মিলিন্দ অথবা প্রতীক-নেহার মধ্যে কোনও জুটিকে দেওয়া হবে স্পেশ্যাল ওই ক্ষমতা। বিগবসের তরফে তাঁদেরকে একটি টাস্কও দেওয়া হয়। বিগবসের অন্যান্য প্রতিযোগী শমিতা, নিশান্ত, দিব্যা যখন খেলার মান স্বচ্ছ রাখার প্রচেষ্টা চালান তখন বাকিদের বেশির ভাগই দিব্যার বিরুদ্ধে একজোট হয়। অনেক ধাক্কাধাক্কি-তর্কাতর্কির পর বিজয়ী হন নেহা-প্রতীক। অন্যদিকে প্রতীক-নেহা বিজেতা হওয়ার পরেই ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিতে দেখা যায় শো’র আর এক প্রতিযোগী মিলিন্দ গাবাকে। ঘর খুলে দেওয়ার জন্য বিগবসকে বারবার অনুরোধ জানাতেও দেখা যায় তাঁকে। যদিও বিগবস আদৌ তাঁর কথা শুনবে কিনা, তা জানা যায়নি। প্রসঙ্গত বিগবসে প্রবেশের সময় নেহার ‘কানেকশন’ ছিলেন মিলিন্দ। কিন্তু প্রতীকের সঙ্গে তাঁর সাম্প্রতিক ঘনিষ্ঠতার কারণে মিলিন্দকে তিনি বাদ দিয়ে দেন।
যত দিন যাচ্ছে বিগবসের ঘরে বদলে যাচ্ছে সম্পর্কের সমীকরণ। নেহা ও প্রতীকের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা চোখে এড়াচ্ছে না নেটিজেনদের। যদিও নেহা জানাচ্ছেন তাঁদের মধ্যে কিছুই নেই, তিনি বলেন, ‘আমি বিবাহিত’। কিন্তু সুইমিং পুলে একসঙ্গে সময় কাটানো থেকে শুরু করে আরও নানা কাছে মুহূর্তে হামেশাই নজরবন্দী হচ্ছেন তাঁরা। নিজের জীবনের নানা গোপন কথাও নেহাকে শেয়ার করছেন প্রতীক। সম্প্রতি তিনি নেহাকে বলেন তাঁর নর্থ-ইস্ট লুকের জন্য ছোটবেলায় শিক্ষকরা তাঁকে অনেক খারাপ কথা বলেছে। একদিকে প্রতীকের জন্য মিলিন্দকে যেমন বাদ দিয়েছেন নেহা ঠিক তেমনই প্রতীক ও বাদ দিয়েছেন তাঁর কানেকশন অক্ষরাকে। যত দিন যাচ্ছে ঘুরছে সম্পর্কের চাকা।
একদিকে নেহা-প্রতীক, অন্যদিকে ‘বিগ বস’-এর ঘরে রাকেশ বাপতকে লাল হৃদয় দিয়েছিলেন শিল্পা শেট্টির বোন শমিতা শেট্টি। রাকেশ সেটি সগর্বে গ্রহণ করেছেন। আনন্দে আত্মহারা হয়ে বলেই ফেলেছিলেন, তিনি শমিতার হয়ে গিয়েছেন। সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো আপলোড হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ক্যাপশনে লেখা, “এই কানেকশন রাকেশ গ্রহণ করেছেন – কবুল হ্যায়, কবুল হ্যায়, কবুল হ্যায়। ওদের জুটি ভাল লাগলে লাইক করুন আপনারা।” সেই ভিডিয়োতেই রাকেশ শমিতার উদ্দেশ্যে বলেছেন, তাঁর শমিতাকে নিজের বলে মনে হয়, “আমি শমিতার, শমিতাও আমার।”
রাকেশের মুখে এই কথা শুনে শমিতা লজ্জায় লাল হয়েছেন। এখানেই শেষ নয়। বিগবসের বাড়িতে রাকেশ-শমিতার আরও কীর্তি দর্শকের চোখে পড়ছে। একটি ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, শমিতাকে ঘুম থেকে তুলছেন রাকেশ। হাতে চুম্বন এঁকে দিচ্ছেন তাঁর। শমিতার ফ্যানপেজ থেকে শেয়ার হয়েছে সেই ভিডিয়ো। এই মুহূর্তে বিগবস চলছে ওটিটিতে, তা আরও কিছুদিন এই প্ল্যাটফর্মে চলার পর সম্প্রচারিত হবে টিভিতে।