দু’দুটো অসফল বিয়ের পর ২০১৬ সালে একদা প্রথম সারির অভিনেত্রী বিপাশা বসুকে বিয়ে করেন অভিনেতা করণ সিং গ্রোভার। ২০২২ সালে বাবাও হন তিনি। এবার নিজেকের বিপাশার ক্রীতদাস বলে সম্বোধন করলেন এক সাক্ষাৎকারে। কিন্তু কেন? সন্তান হওয়ার পর বেশ কিছুটা ওজন বাড়িয়ে ফেলেছেন বিপাশা। হট-সেক্সি অবতার থেকে খানিক সরে এসে নিজেকে নিয়োজিত করেছে তাঁর একরত্তি মেয়ে দেবীর সেবায়। হৃদযন্ত্রে ফুটো নিয়ে জন্মেছিল দেবী। মা হিসেবে বিপাশার উপর মেয়ের জন্মের প্রথম কয়েক মাস কম ঝক্কি যায়নি। তাই তাঁর ওজন বাড়ল নাকি কমে গেল, সে ব্যাপারে মন দেওয়ার মতো মানসিক অবস্থাই ছিল না তাঁর।
এক সাক্ষাৎকারে তাঁর ওজন বৃদ্ধি ও তা নিয়ে নানা কটূক্তি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বঙ্গতনয়া বলেন, “এই মুহূর্ত দেবীই আমার কাছে অগ্রাধিকার পেয়ে থাকে। আমার চোখ খোলা থাকুক অথবা বন্ধ, আমার সব কিছু জুড়ে শুধু দেবীরই আনাগোনা। যে মুহূর্তেই আমি বাইরে যাই, মনটা উচাটন করতে থাকে যে কখন আমি বাড়ি ফিরব, কখন এসে আমার মেয়েটাকে কোলে নেব। যদি তালিকা তৈরি করতে হয়, তবে সেই তালিকায় দেবী রয়েছে একদম প্রথমে, দ্বিতীয় স্থানে রয়েছি আমি নিজে আর তৃতীয় স্থানে রয়েছে আমার স্বামী করণ সিং গ্রোভার।”
বিপাশার এই তালিকা দেখেই খানিক রসিকতা করেছেন করণ। বিপাশার মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, “আমি আসলে একজন ক্রীতদাস, যার আগে প্রভু একজনই ছিল। কিন্তু মেয়ে আসার পর এখন আমার দুইজন প্রভু হয়ে গিয়েছে।” যদিও করণের এই বক্তব্য সাধারণের একটা বড় অংশ ভাল ভাবে নেননি। করণ মজা করলেও তাঁদের যুক্তি, “মেয়ে ও স্ত্রীর জন্য কিছু করাটা কখনওই দাসবৃত্তি নয়। তাই করণ যদি মজাও করে থাকেন এই মানসিকতা মোটেও সুস্থ নয়।” প্রসঙ্গত, জন্মের সময়েই যে হার্টে ফুটো নিয়ে জন্মায় দেবী সে কথা মাস খানেক আগে নেহা ধুপিয়ার এক শো-য়ে এসে প্রথম জানিয়েছিলেন বিপাশা। সেই কথা বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন তিনি। যদিও সবাইকে আশ্বস্ত করে বিপাশা এও জানিয়েছিলেন অস্ত্রোপচারের পর এখন সবকিছু স্বাভাবিক। তাঁর মেয়ে দেবী ভাল আছে।