ঢেলে সাজানো হচ্ছে বিহার। ওই রাজ্যের প্রতিটি জায়গা যাতে শুটিংয়ের উপযুক্ত করা যায় সে কারণেই চলছে বিস্তর পরিকল্পনা। গোয়া চলচ্চিত্র উৎসবে হাজির হয়ে দিন কয়েক আগে এমনটাই জানিয়েছিলেন ওই রাজ্যের তথ্য সংস্কৃতি বিভাগের মন্ত্রী জিতেন্দ্র কুমার রাই। তিনি জানান নীতিশ কুমার সরকার বিহারকে শুটিংয়ের উপযুক্ত করে তোলার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই নেওয়া শুরু করেছে। এর মধ্যে প্রথমেই রয়েছে শুটিংয়ের জন্য আকর্ষণীয় জায়গা বেছে নেওয়া। সরকারের এই ঘোষণায় উচ্ছ্বসিত ‘ঘরের ছেলে’ পঙ্কজ ত্রিপাঠি।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে তিনি বলেন, “অনেক পরিচালক রয়েছেন যাঁরা বিহারে শুটিং করতে চান। কিন্তু অব্যবস্থার জন্য পারেন না। তাঁদের হয় উত্তর প্রদেশ অথবা ঝাড়খন্ডে গিয়ে শুটিং করতে হয়। এখানে বেশি সুযোগ নেই। আশা রাখছি সরকারের এই নতুন নীতি এই সমস্ত অসুবিধেতে প্রলেপ লাগাবে।”
কেন বিহার নিয়ে এতদিন এতটাই নেতিবাচক ছিলেন পরিচালক-প্রযোজকেরা? ১৯৭০ সালে দেব আনন্দ ও হেমা মালিনী এক গানের শুটের জন্য ছুটে এসেছিলেন বিহারে। ছবির নাম ‘জনি মেরা নাম’। ঠিক ছিল নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের ধ্বংসস্তুপের উপর শুট হবে এই ছবির। কিন্তু চূড়ান্ত অব্যস্থার অভিযোগ ওঠে। শুটিং অপূর্ণ রেখেই ওই ছবি কলাকুশলীদের ফিরে আসতে হয়। এর পর থেকেই ওই জায়গা নিয়ে এক নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয় বলিউডের অন্দরে। অবশেষে সেই ধারণা ভাঙতে চলেছে। আশাবাদী বিহার থেকে আসা তারকারা।