জাতীয় পুরস্কার রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। তাঁর পরিচালিত ছবি দর্শক পছন্দ করেন। কিন্তু এত বছর ধরে তিনি ছবির কাজই করেছেন। প্রথমবার ওয়েব প্ল্যাটফর্মে আসতে চলেছে তাঁর কাজ। তিনি অর্থাৎ পরিচালক প্রদীপ্ত ভট্টাচার্য। তাঁর প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘বিরহী’র ট্রেলার মুক্তি পাবে আগামিকাল। নতুন ওয়েব মিডিয়াম ‘উরি বাবা’তে দেখা যাবে ‘বিরহী’।
মোট ছটি এপিসোডে প্রথম ওয়েব সিরিজকে ভেঙেছেন প্রদীপ্ত। প্রতিটি এপিসোড ২০ থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যে। প্রথম ওয়েব সিরিজ তৈরি করতে এতটা সময় নিলেন কেন? অনেকেই মনে করছেন ডিজিটালই ভবিষ্যৎ। সেক্ষেত্রে আরও আগে কেন ওয়েবে কাজ করার পরিকল্পনা করেননি প্রদীপ্ত? অফার ছিল না? এ প্রসঙ্গে TV9 বাংলাকে তিনি বলেন, “বিরহীর বাজেট কম হলেও পুরোটা নিজের মতো করে করতে পেরেছি। ওরা (উরি বাবা কর্তৃপক্ষ) মাথা ঘামায়নি। আগে বিভিন্ন ওয়েবে করার কথা বলেছেন অনেকে। কিন্তু বিভিন্ন দাবি থাকে তো, সেগুলো সব সময় মেনে নেওয়া যায়নি।”
প্রদীপ্ত জানালেন, মফস্বলের এক বেকার ছেলের গল্প রয়েছে এই ওয়েব সিরিজে। সে টিউশনি করত। তারপর সরকারি প্রাইমারি স্কুলে চাকরি পায়। কিন্তু চাকরির জায়গাটি অনেক দূরের গ্রামে। সেই গ্রামের নাম ‘বিরহী’। সেখানে অদ্ভুত কাণ্ডকারখানা হয়। যাতে ছেলেটির জীবনের গতি প্রকৃতি বদলে যায়। ওয়েব সিরিজে এই চরিত্রটির নাম কৃষ্ণ। এই ভূমিকায় সায়ন ঘোষের অভিনয় দেখবেন দর্শক। এ ছাড়াও শতাক্ষী নন্দী, শ্রাবন্তী ভট্টাচার্য, কৌশিক রায়, অমিত সাহা, অনুরাধা মুখার্জী, সোহম মৈত্র, দীপক হালদারের অভিনয়ে সমৃদ্ধ ‘বিরহী’। কয়েকজন থিয়েটারের অভিনেতা এবং গ্রামের নন অ্যাক্টররাও রয়েছেন এই সিরিজে। সাত্যকি বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন মিউজিকের দায়িত্বে।
এতদিন ছবি তৈরি করেছেন। প্রথম ওয়েব সিরিজ তৈরি করতে গিয়ে পদ্ধতিগত কোনও পার্থক্য লক্ষ্য করলেন? এ প্রশ্নের উত্তরে প্রদীপ্ত বললেন, “চিত্রনাট্য এবং মেকিংয়ের পার্থক্য আছে। নেক্সট এপিসোড দর্শক দেখবেন এমন কিছু ভাবনা চিন্তা থাকে প্রতিটি এপিসোডেই। আর ওয়েব মোবাইলে দেখার প্রবণতা রয়েছে বেশিরভাগ দর্শকরের। আমি তৈরি করতে গিয়ে বুঝেছি। সেকেন্ড সিজনের বিভিন্ন হিন্ট দেওয়া রয়েছে। তবে কবে পরের সিজন তৈরি করব, সেটা এখনই বলতে পারছি না।”
আরও পড়ুন, জেনিফার অ্যানিসস্টন এবং ডেভিড স্কিউমার কি প্রেম করছেন?