দিতিপ্রিয়া রায়, ছোট থেকেই অভিনয়ের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক। একের পর এক ভাল কাজ উপহার দিয়েছেন তিনি দর্শকদের। কখনও রানীমা হয়ে, কখনও রাশি বন্দ্যোপাধ্যায় হয়ে দর্শক মনে বার বার জায়গা করে নিয়েছেন পাকাপাকি। সেই দিতিপ্রিয়াকে ঘিরে এখন ভক্তদের মনে উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে। তিনি কী করেন? তাঁর ব্যক্তিগত জীবন কেমন? কী পছন্দ করেন? সবটাই জানতে চায় তাঁর অনুরাগীরা। কিন্তু মনের কথা কি সব সময় খুলে বলতে পারেন দিতিপ্রিয়া? তাঁর কথায় একেবারেই না। তিনি মনের ভাব গুছিয়ে প্রকাশ করতে পারেন না। এক সাক্ষাৎকারে দিতিপ্রিয়াকে বলতে শোনা যায়, তিনি এক বলতে চান অপরজন আর এক বোঝেন। যার ফলে ছোট খাটো মান অভিমান মাঝে মাঝেই চলতে থাকে।
ঠিক এই কারণেই দিতিপ্রিয়ার কাছের মানুষের সংখ্যা ভীষণ কম। যে নির্দিষ্ট কিছু মানুষ রয়েছেন, যাঁরা দিতিপ্রিয়াকে বোঝেন, দিতিপ্রিয়া মুখ ফুটে না বললেও, বুঝতে পারেন তাঁর মনের কী অবস্থা। তাই তাঁদের সঙ্গেই থাকতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, তাঁর যত অনুভূতি, আবেগ, সবটাই ক্যামেরার সামনে প্রকাশ পায়, ক্যামেরার পেছনে তিনি একেবারেই নিজেকে উজাড় করে দিতে পারেন না।
দিতিপ্রিয়া এই কারণেই খুব একটা বেশি সম্পর্ক তৈরি করেন না। কারণ তিনি জানেন, তাঁকে বোঝা বেশ কষ্টসাধ্য। আর এই কারণেই দিতি চায় তাঁর এই ছোট্ট গণ্ডির মধ্যে থাকতে। যাঁরা প্রথম থেকে দিতিপ্রিয়ার পাশে ছিলেন, তাঁরাই যেন শেষ পর্যন্ত থাকেন এটাই তাঁর কাম্য। তবে ব্যক্তি জীবনের বাইরে পেশার দিক থেকে তিনি এখন বেশ পোক্ত। নিজের কথা, নিজের মতামত গুছিয়ে গুছিয়ে বলার ক্ষমতা রাখেন তিনি। দিতিপ্রিয়ের কথায় অতীতে তিনি এমনটা পারতেন না, তবে এখন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শিখে গিয়েছেন, ‘না’টা কীভাবে বুঝিয়ে বলতে হয়।