তিনি ‘ফ্যামিলি ম্যান’– ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা নেহাত কম নয়। তবে তাঁকে নিয়ে রটনাও নেহাত কম নয়। কথা হচ্ছে মনোজ বাজপেয়ীর। ইন্ডাস্ট্রির রটনা, মদ্যপান না করে নাকি শট দিতে পারেন না মনোজ। প্রতি শট দেওয়ার আগে নাকি ভদকা তাঁর চাই-চাই। সত্যিই কি তাই? এ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন মনোজ। তিনি জানান, তাঁকে সরাসরি এ প্রশ্ন আগেও করা হয়েছিল। করেছিলেন এক যুবতী। সেই যুবতীর ‘ভুল’ ভেঙেছিলেন মনোজ। কীভাবে? জানিয়েছিলেন, তিনি হোমিওপ্যাথি ওষুধ খান। আর সেই ওষুধকেই অনেকেই মদ ভেবে ভুল করেন। অনুরূপ গন্ধ পাওয়ার কারণেই, এ হেন রটনা তাঁকে ঘিরে। তাই রটনাকে রটনা হিসেবেই রাখার আর্জি মনোজের। তাঁকে নিয়ে যে এসব কথা রটে তা জানতে পেরেই তাজ্জব তিনি।
শাহরুখ খানের সঙ্গে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন মনোজ। একসঙ্গে বিড়ি-সিগারেটও ভাগ করে খেয়েছেন দু’জন। সে কথা নিজেও জানিয়েছেন বহুবার। এমনকি শাহরুখের দৌলতেই প্রথম তাঁর ডিস্কো ঠেকে যাওয়া। শাহরুখ এই মুহূর্তে সুপারস্টার। তবে পিছিয়ে নেই মনোজও। তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা এই মুহূর্তে আকাশ ছোঁয়া। তবে শুরুটা এমন ছিল না। অডিশনের পর অডিশন, একের পর এক প্রত্যাখ্যানের পর আজ তিনি এ জায়গায়। এ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন মনোজ। বলেছিলেন, “অনেকের মতোই একবুক স্বপ্ন নিয়ে আমি মুম্বইতে এসেছিলাম। দীর্ঘ দিন ধরে লড়াইও করেছিলাম। হতাশা ছিল, অস্বস্তি ছিল। তখনকার দিনে এবার রুটিনের মতো ছিল, তুমি তোমার ছবি জমা দেবে সহপরিচালককে, আর তিনি তোমার সামনেই তা ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলে দেবে। এই অপমান কখন যেন আশায় পরিণত হয়ে যায়। আমি স্থির করেছিলাম, খবরের কাগজে পড়া এক়টি চরিত্র আমি পাঠ করে দেখাব। পথনাটিকা থেকে যা শিখেছিলাম, তাই দিয়েই কাজ করার চেষ্টা করেছিলাম। এগুলোই আমার শিল্পীসত্ত্বাকে বাঁচিয়ে রেখেছিল।”