
সদ্য মুক্তি পেয়েছে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় অভিনীত ছবি সাবাশ ফেলুদা। পরিচালনায় অরিন্দম শীল। ফেলুদা করার ইচ্ছে ছোট থেকেই ছিল পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের। কারই বা না থাকে এই স্বপ্ন। যদিও পরমের স্বপ্নপূরণ হলেও, দর্শকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া বর্তমান। পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়কে কিংবা নতুন প্রজন্মের আকারে ফেলুদাকে তৈরি করাতে অনেকেই দেখালেন আপত্তি। পরমের উদ্দেশে কেউ লিখলেন, ‘তোমার অভিনয় খুব ভালো লাগে, কিন্তু দুঃখের বিষয় এই ফেলুদা ভয়াবহ হয়েছে’, আবার কারও কথায়, ‘দারুন লাগছে – দেখছি – রুদ্রনীল এত ভাল অভিনেতা – কিন্তু এখানে অভিনয়টা ঠিক ভাল লাগছেনা – এটা আমার মতামত – আমার একটু “অতিনাটক ” মনে হচ্ছে – যাই হোক পুরোটা না দেখে অভিমত দেওয়া ঠিক নয় – তবে এই চরিত্রটার জন্য অন্য কোনও অভিনেতা হলে মনে হয় ভাল হতো।
সবটা দেখে শুনেই সোশ্যাল মিডিয়ায় হাজির নয়া প্রজন্মের ফেলুদা। তিনি দর্শকদের উদ্দেশে জানালেন, ‘ফেলুদার সঙ্গে, বিশেষ করে বাঙালিদের অনেক আবেগ জড়িয়ে। আপনাদের মতো আমারও সেই ছোটবেলার দুপুরগুলো কেটেছে ফেলুদাকে নিয়েই। আমাদের কোথাও গিয়ে যেন মনে হয়েছে এই যে সম্পত্তি, এই যে অসামান্য গুপ্তধন বলা যেতে পারে, এই যে অমর সাহিত্য…, এগুলি কোথাও সেই সমস্ত প্রজন্মের কাছে, সেই সমস্ত বাচ্চা ছেলে মেয়েদের কাছে পৌঁছে দেওয়া। যাঁরা ডিজিটাল যুগে জন্মগ্রহণ করছে, সেই সকল ছেলে মেয়েদের কাছে পৌঁছে দেওয়া দরকার। তারা যেন আমাদের কাছ থেকে উত্তররাধিকার সূত্র এগুলো পায়। সেই কথা মায়তায় রেখেই হয়তো আজকের সময়ের জন্যে সাবাস ফেলুদা বানানো।
এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বললেন, ‘টিজ়ার মুক্তি পাওয়ার পর থেকে অনেক মানুষের মধ্যে আগ্রহ দেখেছি, উত্তেজনা দেখেছি, তাঁদের তো অনুরোধ করবই এটা দেখতে। আর যাঁদের আমাকে ফেলুদা হিসেবে ভাল লাগেনি, ঋতব্রতকে তোপসে হিসেবে ভাল লাগেনি, তাঁদের বলব যে, ওগুলো তো ট্রেলার টিজ়ার ছিল, একবার পুরো সিরিজ়টা দেখুন না। দেখে আপনাদের যা মতামত হবে, মন্তব্য হবে হবে শিরোধার্য। দর্শকদের কথা, দর্শকদের মতামত, সব সময় শিরোধার্য। আবার অনেকের মনে হয়েছে, বাহ, একটা নতুন প্রচেষ্টা তো। তাঁরা তো দেখবেনই।’