রুশা চট্টোপাধ্যায়ের মন ভাল নেই। আশ্বিনের তুলোর মত নরম মেঘ তাঁকে মনে করিয়ে দিচ্ছে সেই সব কথা যা এতকাল যাপন করেছেন তিনি। মনে করিয়ে দিচ্ছে কাছের মানুষগুলোর কথা। মনে করিয়ে দিচ্ছে ভিড় ঠাসা মণ্ডপ, লাইড স্পিকার… আরও কত কী! বিয়ের পর এটিই তাঁর প্রথম পুজো। অথচ একগুচ্ছ নেইয়ের মাঝে তিনি। বিবাহসূত্রে রুশা যে বিদেশে থাকেন, এ কথা কারও অজানা নয়। না, এই পুজোতে বাড়ি ফেরা হয়নি তাঁর। বরের সঙ্গে তিনি রয়েছেন প্রবাসে। সেখানেও পুজো হবে ঠিকই, কিন্তু কাছের মানুষগুলো? তাঁদের সঙ্গে দেখা হবে না তাঁর।
রুশার কথায়, “দুর্গাপুজো আসলে এমন একটা আবেগ, যার অন্য মানে রয়েছে। নিজের পরিবারের থেকে দূরে নতুন পরিবারের সঙ্গে রয়েছি। ভিড় মিস করছি, লাউড স্পিকার মিস করছি। সারারাত ধরে আড্ডা মিস করছি। আর সবচেয়ে বড় কথা, মিস করছি খাবার। সবাইকে পুজোর অনেক অনেও শুভেচ্ছা।” তবে শুধু রুশা নন, এরকম হাজারও রুশা রয়েছে আশেপাশেই। ইচ্ছে সত্ত্বেও তাঁদের বাড়ি ফেরা হয়নি এই বছর। হয়নি লাইন দিয়ে ঠাকুর দেখা, হয়নি সারারাতের আড্ডা। সে সব কথাই রুশার সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন তাঁরা। একই ব্যথায় হয়েছেন সমব্যথী।