নাগা চৈতন্যের সঙ্গে দাম্পত্য বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসতেই সামান্থা প্রভু একের পর এক ব্যক্তি আক্রমণের শিকার হচ্ছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ব্যক্তি জীবন নিয়ে এতটাই কাটাছেঁড়া চলছে যে বিবৃতি দিতে বাধ্য হয়েছেন অভিনেত্রী। কখনও অন্য প্রেমের সম্পর্ক, কখনও বা গর্ভপাতের জল্পনা চলছে তাঁকে নিয়ে। এর মধ্যেই সামান্থার আসন্ন প্রজেক্টের প্রযোজক নীলিমা গুনা জানালেন, মা হতে চেয়েছিলেন সামান্থা। কিন্তু তারপরই নাকি এই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত!
সামান্থার আসন্ন প্রজেক্ট ‘শকুন্তলম’-এর প্রযোজক নীলিমা গুনা। তিনি সংবাদমাধ্যমে জানান, সামান্থা মা হতে চেয়েছিলেন। নাগার সঙ্গে ফ্যামিলি প্ল্যানিংও করছিলেন। এমনকি ‘শকুন্তলম’-এর অফার প্রথমে এই কারণেই নাকি ফিরিয়েও দিয়েছিলেন সামান্থা। কিন্তু কী হল তারপর?
নীলিমার কথায়, “গত বছর আমার বাবা পরিচালক গুনশেখর গারু এই শকুন্তলমের জন্যই সামান্থাকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ওর শুনে খুব ভাল লেগেছিল। কিন্তু তখন ও আমাদের জানিয়েছিল, এই বছর জুলাই, অগস্টের মধ্যে শুটিং শেষ করতেই হবে। কারণ ও মা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ও এবং নাগা পরিবার তৈরির কথা ভাবছিল। সামান্থা জানিয়েছিল, ওই সিদ্ধান্তই ওর প্রায়োরিটি। আমারও ওর বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে প্রি প্রোডাকশন শেষ করে ফেলার পরিকল্পনা করেছিলাম। সেটা শুনে ও আনন্দের সঙ্গে রাজি হয়ে গিয়েছিল।”
সামান্থা ব্যক্তিগত কুৎসা প্রসঙ্গে সোশ্যাল পোস্টে লিখেছিলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত কঠিন সময়ে মানসিক ভাবে যে আপনারা পাশে ছিলেন, তাতে আমি অভিভূত। সমবেদনা জানানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভুয়ো কিছু গল্প রটানো হচ্ছে। তারও প্রতিবাদ করেছেন, সে জন্যও ধন্যবাদ। অনেকেই বলছেন, আমার অন্য প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আমি কখনও সন্তান চাইনি। আমি সুবিধাবাদী এবং গর্ভপাত করিয়েছি।’ এই ভুয়ো রটনার প্রতিবাদ যাঁরা করেছেন, তাঁদের প্রতি নিজের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন সামান্থা।
সামান্থা আরও লেখেন, ‘বিচ্ছেদ অত্যন্ত যন্ত্রণাময় একটি পদ্ধতি। এই সময়টা আমাকে নিজের মতো করে সামলে নেওয়ার সুযোগ দিন। নিরলস ব্যক্তি আক্রমণ হয়ে চলেছে। কিন্তু আমি প্রতিজ্ঞা করছি, এ সব কিছু আমাকে ভাঙতে পারবে না।’
শোনা যাচ্ছে বিচ্ছেদের পর ভরণপোষনের জন্য সামান্থাকে ২০০ কোটি টাকা দিতে চেয়েছিলেন নাগা এবং তাঁর পরিবার। কিন্তু সামান্থা নাকি কোনও টাকা নিতে রাজি হননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্র দাবি করেন, এই বিয়ে ভাঙা সামান্থার কাছে হৃদয় বিদারক। অভিনেত্রী অত্যন্ত বিচলিত। এই সম্পর্ক থেকে শুধুমাত্র ভালবাসা এবং সাহচর্য চেয়েছিলেন তিনি। এ ছাড়া আর কিছুর প্রয়োজন ছিল না তাঁর।
২০১০-এ একসঙ্গে ‘ইয়ে মায়া চেসভ’-এ কাজ করতে গিয়ে নাকি একে অপরের প্রেমে পড়েন সামান্থা এবং নাগা। ২০১৭-র জানুয়ারিতে তাঁদের এনগেজমেন্ট হয়। ওই বছরই অক্টোবরে গোয়াতে বিয়ে করেন তাঁরা। তাঁদের বিচ্ছেদে মন ভেঙে গিয়েছে বহু অনুরাগীর।
নাগা চৈতন্য অভিনেতা নাগার্জুন আকিনেনির পুত্র। বৈবাহিক সূত্রে এক সময় আকিনেনি পদবী ব্যবহার করতেন সামান্থা। কিন্তু কিছুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের প্রোফাইলে সেই পদবী বাদ দিয়েছেন তিনি। তারপর থেকে নাগা চৈতন্যর সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদের জল্পনা আরও দৃঢ় হয় বিভিন্ন মহলে। সেই জল্পনার অবসান ঘটালেন অভিনেত্রী স্বয়ং।