হঠাৎ করেই ফুসফুসের ক্যানসার ধরা পড়ে অভিনেতা সঞ্জয় দত্তের। প্রথমে ভেবেছিলেন টিবি পরে যদিও এক্সরে রিপোর্ট জানায় অন্য তথ্য। কী হয়েছিল তারপর? কী কী উপসর্গ দেখা গিয়েছিল তাঁর মধ্যে? এ সব কিছু নিয়েই মুখ খুললেন অভিনেতা। সঞ্জয় জানান অসুবিধের শুরু লকডাউনের সময় থেকে। আর পাঁচটা দিনের মতোই একদিন সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠে আসছিলেন তিনি। আচমকাই বুঝতে পারেন কিছুতেই শ্বাস নিতে পারছে না। শুরু হয় হাঁপানি।
তাঁর কথায়, “কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। তৎক্ষণাৎ ডাক্তারকে ফোন করি। হয় এক্সরে। দেখা যায় আমার অর্ধেক ফুসফুসেই জল। ভেবেছিলাম হয়তো টিবি হয়েছে। যদিও পরে জানতে পারি টিবি নয় আমি ক্যানসার আক্রান্ত।” ক্যানসার আক্রান্ত এক মানুষকে তাঁর অসুস্থতা সম্পর্কে জানানো খুব একটা সহজ কাজ ছিল না তাঁর পরিবারের পক্ষেও। খবর জানান প্রথম তাঁর বোন। খবরটায় ভেঙে পড়েছিলেন ‘টেনশন লেনে কা নহি’ বুলি আওড়ানো ‘মুন্নাভাই’ও। সঞ্জয় জানিয়েছেন দু-তিন ঘণ্টা নাকি কেঁদেছিলেন একটানা। স্ত্রীর জন্য কষ্ট হচ্ছিল, কষ্ট হচ্ছিল ছোট ছোট দুই সন্তানের জন্যও। তিনি যোগ করেন, “প্রথমে ভেবেছিলাম চিকিৎসার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাব। কিন্তু ভিসা পাইনি। রাকেশ রোশন আমায় এক ডাক্তারের সন্ধান দেন।”
সবাই বলেছিল কেমোথেরাপি চলাকালীন তাঁর চুল উঠে যাবে, হতে পারে বমিও। কিন্তু গোটা বিষয়টি যেন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল সঞ্জয়ের কাছে। তিনি আরও বলেন, “কেমোথেরাপি শেষ করেই এক ঘণ্টা সাইকেল চালিয়েছি। এখনও ভাবতে অবাক লাগে কেমো নিতে দুবাই যেতাম তারপর সেখানে ব্যাডমিন্টন কোর্টে দু-তিন ঘণ্টা ধরে ব্যাডমিন্টন খেলতাম।”
দু’মাস হয়েছে আবারও জিম যাওয়া শুরু করেছেন তিনি। এই মুহূর্তে তিনি ক্যানসার মুক্ত। ফিরেছেন অভিনয়ে। জিমে যাওয়ার ফলে ঝরিয়েছেন ওজনও। সঞ্জয় দত্ত বললেই যে চিত্র ফুটে ওঠে মানসমননে, নতুন ভাবে নিজেকে গড়ে সেই জায়গাতেই নিয়ে যাওয়ার মরিয়া চেষ্টা তাঁর।