বলিউডে শেফালি শাহ এখন ট্রেন্ডিং নাম। যার জেরে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এখন তাঁর দাপট বা চাহিদা তুঙ্গে। এক কথায় বলতে গেলে শেফালির প্রতিটা চরিত্রের ক্ষেত্রে নিজেকে ভেঙে গড়ার যে ক্ষমতা, তা দর্শকদের নজরের কেড়ে এতদিনে এক বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। ফলে যে কোনও গল্পের জোড়ালো কোনও চরিত্রের জন্য তিনি যে টপিং-এর কাজটি করতে পারেন ভালই তা নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই অধিকাংশের। যার মধ্যে এক অন্যতম উদাহরণ হল ডার্লিংস। আলিয়া ভাটের প্রথম প্রযোজনায় তৈরি ছবি। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেট ফ্লিক্সে।
ছবির দুই অস্ত্র, এক শেফালি, দুই আলিয়া ভাট। মা-মেয়ের জুটি। ডার্ক কমেডি এই গল্পের পরতে-পরতে জড়িয়ে থাকা একাধিক চমক যেমন দর্শকদের উত্তেজিত করেছে, ঠিক তেমন ভাবেই অবাক করেছে খোদ গল্পের অভিনেত্রী শেফালিকেও। অসমবয়সী প্রেম পর্দায় নতুন নয়। তবে সেই প্রেমের গল্পকে একটি আকার দিতে যে সময়টা দেওয়ার প্রয়োজন সেই সময়টা ডার্লিংস-এ ছিল না। যার ফলে সবটাই খুব আটমকাই ঘটে ছবির ক্লাইমেক্সে। যখন টান-টান উত্তেজনায় গল্পের গতি দ্রুত, তখনই হঠাৎ মেয়ের সামনে মায়ের ঠোঁট ঠাসা চুম্বন, আর এতটাই সহজ ও স্বাভাবিক করে তোলা হয়েছে এই দৃশ্যকে ছবিতে, যে তা আলাদাভাবে আলোচনার কেন্দ্রে জায়গা করে নেয়নি।
তবে যখন ছবির চিত্রনাট্য হাতে এসেছিল তখন তা পড়া মাত্রই চমকে গিয়েছিলেন খোদ শেফালি। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, দুটি বিষয় তাঁকে অবাক করেছিল, এক জুলফির (অভিনেতা রোশন ম্যাথিউ) সঙ্গে চুমু ও শেষে হামজ়ার (বিজয় ভর্মা) মৃত্যু। ক্রিপ্ট পড়া মাত্রই তাঁর মনে হয়েছিল, এটা কী হয়ে গেল, বুঝে উঠতেই পারেননি শেফালি। সব থেকে বেশি চমকপ্রদ যেমন লেগেছিল, ঠিক ততটাই তিনি অবাকও হয়েছিলেন বলেই হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান। কারণ গল্পে প্রথম থেকেই ইঙ্গিত মিলেছিল আলিয়াকেই হয়তো ভালবাসেন জুলফি। তবে শেষ মুহূর্তে যখন সব রহস্য একসঙ্গে কেন্দ্রিভুত, তখনই তিনি ফাঁস করেন মনের কথা, আর তার ঠিক কিছু মুহূর্তের মধ্যেই সপাট চুম্বন। দর্শকই কেবল নন, শেফালি নিজেও গিয়েছিলেন চমকে।