অমিতাভ বচ্চন, ধর্মেন্দ্র অভিনীত ‘শোলে’ ছবিতে আমজাদ খানের পারফরম্যান্স ভোলার নয়। রমেশ সিপ্পি পরিচালিত কালজয়ী ‘শোলে’ ছবিতে গব্বর সিং সেই ভয়াবহ ভিলেন, যার কথা বলে এখনও বাচ্চাদের ঘুম পাড়ান মায়েরা। কিছু দুর্দান্ত সংলাপ ছিল গব্বর সিংয়ের। যেমন – ‘আরে ও সাম্বা, কিতনে আদমি থে’ কিংবা ‘বহুত ইয়ারানা হে’ বা ‘জো ডর গয়া, সমঝো মার গয়া’। এই সংলাপগুলির জনপ্রিয়তা এতটাই ছিল যে, প্রায়সই মানুষ তা বলতে থাকেন। ১৯৭৫ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘শোলে’ এবং তখন থেকে আজ পর্যন্ত ছবির জনপ্রিয়তা একচুলও কমেনি। কিন্তু জানেন কি, গব্বর সিংয়ের চরিত্রে অভিনয় করার পর আর কোনওদিনও গল্পের লেখক সেলিম-জাভেদের সঙ্গে কাজ করেননি গব্বর।
পর্দায় ছিলেন দুর্দান্ত ডাকাত। কিন্তু বাস্তব জীবনে নরম মনের মানুষ ছিলেন আমজাদ খান। খুব শান্ত এবং দয়ালু ছিল তাঁর স্বভাব। স্ত্রীকে ওয়েফার দিয়ে প্রেম জাহির করতেন। পড়ে গিয়ে পুত্র যদি ব্যথা খেত, তা হলে তার যন্ত্রণায় তিনিও কাঁদতেন। কন্যার অ্যাপেন্টিসাইটিস অপারেশনের সময় চিকিৎসককে অনুরোধ করেছিলেন, তাঁকেও যেন অপারেশন থিয়েটারে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়।
২০১১ সালের একটি সাক্ষাৎকারে আমজাদ খানের স্ত্রী এসেছিলেন। সেই সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, কেন ‘শোলে’ করার পর আর কোনদিনও সেলিম-জাভেদের লেখনীতে কাজ করেননি আমজাদ। এর কারণ খুবই দুঃখের। ‘শোলে’ করার সময় প্রথম শিডিউলে একটিও শর্ট ছিল না আমজাদের। দ্বিতীয় শিডিউলের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তিনি, কিন্তু টিমের অনেকের সন্দেহ হয়েছিল আমজাদ হয়তো চরিত্রের জন্য যথাযথ নন। লেখক সেলিম-জাভেদ গিয়ে পরিচালক রমেশ সিপ্পিকে বলেছিলেন, “আমজাদ হয়তো চরিত্রের জন্য সঠিক নির্বাচন নন”। পরবর্তীতে সেই চরিত্রটি ভীষণ জনপ্রিয় হয়েছিল।
অনেক পরে আমজাদ জানতে পেরেছিলেন, সালিম-জাভেদ কী বলেছিলেন তাঁর সম্পর্কে। এবং তারপরই আমজাদ পণ করেছিলেন আর কোনদিনও সেলিম-জাভেদের হয়ে কাজ করবেন না।