মহা চিন্তায় টুইঙ্কল খান্না। মেয়ে নিতারাকে রোজ এক খাবার খাইয়েছেন টানা লকডাউনে। রান্নার লোকের ছুটি আর ওদিকে তিনিও রান্না করতে পারেন না– অগত্যা তাঁর ভরসা ছিল পিনাট বাটার স্যান্ডউইচ। তবে এখন চিন্তায় ভুগছেন তিনি। শেফ সঞ্জীব কাপুরকে তাঁর শো’তে ডেকে এমনটায় জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “আমার মনে হচ্ছে বড় হয়ে ওকে থেরাপির মধ্যে দিয়ে যেতে হতে পারে। যখন বাকি বাবা-মা পাস্তা আর কলা দিয়ে ব্রেড এই সব তৈরি করছিল তখন ওর মা শুধু স্যান্ডউইচ খাইয়ে রেখেছিল।” টুইঙ্কল রান্না পারেন না, আর অক্ষয়? টুইঙ্কল সাফ জানিয়েছেন, অক্ষয় জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি রান্না করতে পারবেন না। এমনটা নয় যে তিনি রান্না জানেন না। অভিনয় জগতে আসার আগে একটা দীর্ঘ সময় তিনি থাইল্যান্ডে শেফ অর্থাৎ রাঁধুনি হিসেবেই কাজ করেছেন। মেয়েকে রোজ এক খাবার খাওয়ানোর ঘটনাকে অনেকেই তাঁদের উদাসীনতা বলে দাবি করেছেন, কেউ কেউ করেছেন সমালোচনাও।
প্রায়সই সন্তান প্রতিপালন নিয়ে নানাবিধ মত প্রকাশ করেন একদা অভিনেত্রী এবং অক্ষয় কুমারের স্ত্রী টুইঙ্কল খান্না। আরও একটি পরিচয় – অভিনয় ছাড়ার পর টুইঙ্কল মন দিয়েছেন বই লেখার কাজে। তাঁর লেখা বেশকিছু বই বেরিয়েছে। অক্ষয় এবং টুইঙ্কলের দুই সন্তান – আরভ এবং নিতারাও অনেকটাই বড় হয়েছেন এখন। সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে টুইঙ্কল অকপট বলেছেন, “ভাল অভিভাবক হতে গেলে আগে থেকে প্রশিক্ষিত হতে হবে। গাড়ি চালানোর জন্য যেমন লাইসেন্স নেওয়া বাঞ্ছনীয়, ঠিক তেমনই ভাল বাবা-মা হওয়ার আগে প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। সেই প্রশিক্ষণে পাশ করলে, তবেই সন্তানের প্রতিপালন সম্ভব নচেৎ নয়”।
১৯৯৫ সালে ‘বসরাত’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে ফিল্মি দুনিয়ায় পা রাখেন টুইঙ্কল খান্না। তারপর তিনি কাজ করেছেন টানা ৬ বছর। ২০০১ সালে মুক্তি পায় তাঁর শেষ অভিনীত ছবি ‘লাভ কে লিয়ে সালা কুছ ভি করেগা’। কোনওদিনই অভিনয় করতে তেমন আগ্রহী ছিলেন না টুইঙ্কল। তাঁর এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়েছিলেন স্বামী-অভিনেতা অক্ষয় কুমার। ২০১৫ সালে লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে টুইঙ্কলের। প্রকাশিত হয় তাঁর ‘মিসেস ফানিবোনস’ বইটি। তারপর লেখেন ‘দ্য লেজেন্ড অফ লক্ষ্মীপ্রসাদ’ বইটি। ২০১৭ সালে প্রকাশিত হয় সেই বইটি। পরের বছর আসছে তাঁর লেখা আরও একটি উপন্যাস ‘পাজামাজ় আর ফরগিভিং’।