ডিম্পল কাপাডিয়াকে নিয়ে এবার তীব্র নিন্দার ঝড়। সত্যি ফাঁস করে মা’কে বেকায়দায় ফেললেন খোদ মেয়ে টুইঙ্কল খান্না। রান্না করতে কোনওকালেই পারেন না মা। একবারই টুইঙ্কলের জন্য রান্না করেছিলেন ঢ্যাঁড়শ। কিন্তু তাও নাকি পুড়ে গিয়েছিল– এ কথা শেফ সঞ্জীব কাপুরকে জানিয়েছেন টুইঙ্কল নিজেই। টুইঙ্কল সঞ্জীবকে জিজ্ঞাসা করেন, যারা রান্না করতে পারেন না তাঁদের কে তিনি কী টিপস দেবেন? এরপরেই তিনি বলেন, “যখনই পিছনে ফিরে তাকাই তখনই মনে পড়ে আমার মা একবারই আমার জন্য রান্না করেছিল। তাও সেটা ছিল পোড়া ঢ্যাঁড়শ।” উত্তরে সঞ্জীব বলেন, “এই কারণেই আমি বলি রান্নাটা শিখে রাখা উচিৎ সবাইকে। এই কারণে বিভিন্ন মাধ্যমে আমি সবাইকে রান্না শেখাচ্ছি।” তবে টুইঙ্কলের ওই ক্লিপিংস ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছে নিন্দা। অনেকেরই মতে, রান্না না জানাটা কোনও গুণের কথা না। ছেলে মেয়ে উভয়কেই রান্না শেখা উচিৎ।
তবে শুধু যে ডিম্পল রান্না জানেন না, এরকমটা নয়। টুইঙ্কল নিজেও কিন্তু রান্না পারেন না। মেয়ে নিতারাকে রোজ এক খাবার খাইয়েছেন টানা লকডাউনে। রান্নার লোকের ছুটি আর ওদিকে তিনিও রান্না জানেন না– অগত্যা তাঁর ভরসা ছিল পিনাট বাটার স্যান্ডউইচ। মেয়ের জন্য রান্না করেননি অক্ষয় কুমারও। এমনটা নয় যে তিনি রান্না জানেন না। অভিনয় জগতে আসার আগে একটা দীর্ঘ সময় তিনি থাইল্যান্ডে শেফ অর্থাৎ রাঁধুনি হিসেবেই কাজ করেছেন। সেই কারণেই টুইঙ্কলের ভয়, ভবিষ্যতে মেয়েকে কোনও ভাবে থেরাপির মধ্যে দিয়ে যেতে না হয়।
১৯৯৫ সালে ‘বসরাত’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে ফিল্মি দুনিয়ায় পা রাখেন টুইঙ্কল খান্না। তারপর তিনি কাজ করেছেন টানা ৬ বছর। ২০০১ সালে মুক্তি পায় তাঁর শেষ অভিনীত ছবি ‘লাভ কে লিয়ে সালা কুছ ভি করেগা’। কোনওদিনই অভিনয় করতে তেমন আগ্রহী ছিলেন না টুইঙ্কল। তাঁর এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়েছিলেন স্বামী-অভিনেতা অক্ষয় কুমার। ২০১৫ সালে লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে টুইঙ্কলের। প্রকাশিত হয় তাঁর ‘মিসেস ফানিবোনস’ বইটি। তারপর লেখেন ‘দ্য লেজেন্ড অফ লক্ষ্মীপ্রসাদ’ বইটি। ২০১৭ সালে প্রকাশিত হয় সেই বইটি। পরের বছর আসছে তাঁর লেখা আরও একটি উপন্যাস ‘পাজামাজ় আর ফরগিভিং’।