উরফি জাভেদ মানেই খোলামেলা পোশাক। কখনও শরীর ঢাকছেন কাচ দিয়ে আবার কখনও বা জড়িয়ে নিচ্ছেন পাতা। পাপারাৎজির ‘হট টপিক’ তিনি। তবে গণেশ পুজোর ঠিক একদিন আগে উরফিকে দেখে রীতিমতো চমকে গেলেন তাঁর ভক্তরা। পুরোদস্তুর ভারতীয় পোশাকে নিজেকে মুড়ে উরফি গাইলেন গণেশ স্তোত্র। তাঁর গান কেমন লাগল ভক্তদের?
গান শেয়ার করার সঙ্গে সঙ্গেই উরফি লিখে দিয়েছিলেন ভক্তদের উদ্দেশে সাফ কথা। লিখেছিলেন, “আমি ইন্ডিয়আন আইডলের জন্য অডিশন দিচ্ছি না। তাই কারও যদি বিচারক হওয়ার ইচ্ছে হয় তবে সে আদালতে যেতে পারে। আমি জানি আমি গাইতে পারি না”। খুব যে সুরে গেয়েছেন উরফি, এ কথা বলা যায় না। তবে তিনি যে চেষ্টা করেছেন তাতে জুটেছে প্রশংসা। যদিও ট্রোলিংও বরাবরের মতোই জারি। অনেকেই লিখেছেন, “সব ঠিক আছে, গানটা এরপর থেকে আর গাওয়ার চেষ্টা করবেন না”।
কখনও ফ্রেমবন্দি হতে দেখা যায় তাঁর অন্তর্বাস, কখনও আবার ভুল পোজ়ের জেরে ভাইরাল হওয়া। যদিও বাস্তবে উরফি নিজের পক্ষে প্রশ্ন করতে সিদ্ধহস্ত। কিছুদিন আগেই তাঁকে বলতে শোনা যায়, ভাইরাল হলে হয়তো জনপ্রিয় হওয়া যায়, কিন্তু টাকা আসে না। রোজগারের জন্য প্রয়োজন কাজ। কিন্তু সেই কাজই পাচ্ছেন না উরফি। একাধিক কাজের প্রস্তাব এলেও কোনওটাতেই সেভাবে মত দিতে পারেননি তিনি। ভাল চরিত্র কিংবা কাজের সন্ধানেই এখন মরিয়া এই তারকা। ফ্যাশনটা তাঁর কাছে লাইমলাইটে থাকার একটি অস্ত্র মাত্র। প্রসঙ্গত, উরফিকে নিয়ে কিছুদিন আগেই মুখ খুলেছিলেন রাখি সাওয়ান্ত, মুখ খুলেছিলেন তাঁর ছোট পোশাক নিয়ে। দাবি করেছিলেন উরফিকে মিডিয়ার সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন তিনিই। একই সঙ্গে এও বলেছিলেন উরফিকে তিনি ভালবাসেন। উরফি শাড়ি পরল নাকি শাড়ি খুলে ফেলল তাতে তাঁর কিচ্ছু যায় আসে না। একই ভাবে তিনি উরফিকে ভালবাসতে থাকবেন বলে জানান রাখি।