উষসী রায়, টেলিপাড়া থেকে অভিনয়ের সফর শুরু হলেও এখন তিনি বড়পর্দা, ওটিটি-তে চুটিয়ে কাজ করছেন। বেশ কিছু মাস ধরে দিব্যি আছেন তিনি। মুখে হাসি লেগেই রয়েছে, গ্লো করছেন… কারণটা কি? প্রকাশ্যে প্রশ্ন করে বসলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিদি নম্বর ওয়ান সেটে উপস্থিত হতেই এমনই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হল তাঁকে। তবে প্রশ্ন এরিয়ে না গিয়ে সপাট উত্তর দিলেন তিনি, এটা সত্যি। তাঁর কথায় তিনি আগের থেকে এখন অনেকটাই ভাল রয়েছেন। কারণ একটাই তিনি আর আগের মতো সব বিষয় নিয়ে বিচলিত হন না। অযথা কোনও বিষয়ের পিছনেও দৌরে বেড়ান না। তাঁর কথায়, যা তুমি করতে চাও, সেটার জন্য নিজেকে তৈরি কর, কাজ তোমায় ঠিক খুঁজে নেবে। আর এই সমীকরণে তিনি হাতেনাতে ফল পেয়েছেন বলেও দাবি করেন।
যদিও একটা সময় নিখিল জৈনের সংস্থা রঙ্গোলির মুখ হয়ে রীতিমত চর্চার কেন্দ্রে জায়গা করে নিতে হয়েছিল তাঁকে। যদিও সম্পূর্ণ বিষয়টাই তিনি অস্বীকার করেছিলেন। জানিয়েছিলেন ভিত্তিহীন। টিভি ৯ বাংলা তাঁকে এই বিষয় প্রশ্ন করলে তিনি বলেছিলেন, ‘এবাবা একেবারেই না। বিশ্বাস করো, আমি নিজেই এক এক সময় বুঝতে পারছি না, যে কেন এই কথা রটে চলেছে। আমি নিজেও অস্বস্তিতে পড়ে যাই। এও বুঝে উঠতে পারি না আদৌ আমার এই বিষয় মন্তব্য করা উচিৎ কি না। কেন বলব বলতো, দুটো মানুষ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে কর্মসূত্রে একসঙ্গে যোগাযোগ রাখা মানেই কি প্রেম!’
তবে তিনি কী সিঙ্গল? না. এক কথায় তা স্বীকার না করে বরং সম্পর্কের ইঙ্গিতই দিয়েছিলেন সেলেব। জানিয়েছিলেন, ‘এই রে। না না… এটা বললে খুব মুশকিল হয়ে যাবে বিশ্বাস করো। কারণ একদমই উষসী সিঙ্গল নয়। তবে নামটা এখনই বলতে চাই না। যখন মনে হবে আমি নিজেই সবটা জানিয়ে দেব। তবে নিখিল আমার সত্যি ভাল বন্ধু। কাজ-কেরিয়ার নিয়ে আমরা সকলেই নিজের মতো করে ব্যস্ত। তাই এই নিয়ে ভাবাই ছেড়ে দিয়েছে। তবে যেটা ভুল সেটা ভুলই। নিখিল আর আমার মধ্যে সত্যি কিছু নেই। উষসীর জীবনে প্রেম আছে, তবে অন্য কোথাও, অন্য কোনও খানে।’