Vidya Balan Controversy: ‘ফোটোগ্রাফারদের ভয়ে লুকিয়ে থাকতাম’, লুক-ফ্যাশন নিয়ে যখন নাজেহাল বিদ্যা

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়িতা চন্দ্র

Apr 07, 2023 | 11:06 AM

Gossip: ভয়ে লুকিয়ে থাকতেন বিদ্যা। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবটাই ঠিক হয়ে যায় বলেও দাবি করেন তিনি।

Vidya Balan Controversy: ফোটোগ্রাফারদের ভয়ে লুকিয়ে থাকতাম, লুক-ফ্যাশন নিয়ে যখন নাজেহাল বিদ্যা

Follow Us

বর্তমানে সেলেবদের পাপারাৎজিরা যেভাবে ফলো করে থাকেন, তাতে এক প্রকার দিনের প্রতিটা সময়ই নিজেকে পারফেক্ট লুকে রাখতে হয়। জিম লুক, এয়ারপোর্ট লুক ছাড়াও আরও কত লুক। কেরিয়ারের শুরুতে সকলেই এই বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়ে ফেলেন। যার জেরে রীতিমত নাজেহাল হতে হয়েছিল বিদ্যা বালানকে। ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়ে সেই খবর। সম্প্রতি এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন অভিনেত্রী। জানালেন, ঠিক সমস্যা কোথায়? তাঁর বয়স এখন ৪৪ বছর, নিজের ছকভাঙা ফ্যাশন, মেদবহুল চেহারাতেই দিব্যি আছেন তিনি। বিদ্যার কথায় সুস্থ থাকাটা জরুরি। তবে তিনি যে প্রথম থেকেই এই ধ্রুব সত্যি মেনে নিতে পারেননি, তাও স্বীকার করেন।

জানিয়েছিলেন, তিনি রীতিমত ভয়ে থাকতেন এয়ারপোর্ট লুক নিয়ে। ঠাকুরকে ডাকতেন যেন কোনও ফোটোগ্রাফার না আসেন। যদিও তাতে লাভের লাভ কিছুই হতো না। ভয়ে লুকিয়ে থাকতেন বিদ্যা। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবটাই ঠিক হয়ে যায় বলেও দাবি করেন তিনি।

ইন্ডাস্ট্রির তথাকথিত ‘সাইজ কনসেপ্ট’কে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। শাড়িতেই তিনি স্বচ্ছন্দ, শাড়িতেই তিনি খুশি। কিন্তু জীবনের কোনও না কোনও সময় বডি হাগিং, সিকুইন পোশাক তিনি পরে দেখেননি এমনটা নয়। পরেছেন, চেয়েছেন অন্য অভিনেত্রীর মতো দেখতে… কিন্তু বিদ্যার মনে হয়েছে, অদ্ভুত দেখাচ্ছে তাঁকে। অকপট অভিনেত্রী মুখ খুলেছিলেন এক চ্যাট শো’য়ে।

রেড কার্পেটের বেশিরভাগই শাড়িতে দাপানো, নিঃসন্দেহে চ্যালেঞ্জ। আর সেই চ্যালেঞ্জে বেশ ভাল ভাবেই পাশ করেছেন বিদ্যা। ট্রেন্ড সেটার? কী বলা যায় তাঁকে? বিদ্যার উত্তর, “আমার কাছে তো কোনও চয়েজই ছিল না। ওই সব পোশাকে আমি ফিট করতাম না। আমি একটা জিনিস বুঝতে পারি হয় সারাজীবন ওঁদের মতো হওয়ার বাসনা করে যাব আর নয়তো আমি যা আমি তাই হয়েই থাকতে পারব।” বিদ্যা যোগ করেন, “যে মুহূর্তে আমি অন্যের মতো হওয়া বন্ধ করে দিলাম দর্শকও আমাকে আরও কাছ থেকে নিতে চাইল।” কোনও দিন অন্য কোনও অভিনেত্রীর স্টাইল স্টেটমেন্ট অনুসরণ করার ইচ্ছে হয়নি তাঁর? বিদ্যার সাফ জবাব, “আমি চেষ্টা করেছি ওঁদের মতো পোশাক পরতে। আমায় অদ্ভুত দেখাত। নিজেও কমফোর্টেবল হতে পারতাম না একেবারেই। আমি খুশি আমি যা ভালবাসি আমি তাই পরতে পারি। যা ইচ্ছে তাই করতে পারি। আমি মুক্ত…আমি স্বাধীন। মানুষের কাছে তোমার প্রশংসা করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। কারণ, তাঁরা নিজেরাও বুঝে গিয়েছেন আমার লজ্জা নেই।”

Next Article