ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন অমৃতা সিং ও সইফ আলি খান। বয়সের ফারাক ছিল অনেকটাই। অমৃতা ছিলেন সইফের থেকে প্রায় ১২ বছরের বড়। পতৌদি পরিবার এ বিয়ে মানতে চায়নি। বাড়ির অমতে গিয়েই কার্যত অমৃতাকে বিয়ে করেন সইফ। সব কিছু ভালই চলছিল। কিন্তু ছন্দপতন হয় বিয়ের বেশ কিছু বছর পরেই। বিচ্ছেদ হয়ে যায় দু’জনের। কাদা ছোড়াছুড়িও কম হয়নি। প্রাক্তন স্ত্রীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক সব অভিযোগ আনেন সইফ। সম্পর্কেও জড়ান একের পর এক। এরকমই এক সময় এক সাক্ষাৎকারে অমৃতাকে নিয়ে সইফ যা বলেছিলেন, তা শুনলে তাজ্জব হয়ে যাবেন আপনি।
তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, “এরপর কি বয়সে ছোট কোনও মহিলাকে বিয়ে করতে চাইবেন তিনি?” উত্তর দিয়েছিলেন সইফ। বলেছিলেন,”হ্যাঁ, কেন নয়? যে মজাদার, যে সুন্দর, যে মানুষকে অতিরিক্ত বিচার করে না, এরকম একজন মানুষকে বিয়ে তো করাই যায়।” এখানেই থামেননি সইফ, বোমা ফাটান এর কিছুদিন পরেই। তিনি বলেন, “হট ও সেক্সি বউ থাকলে তো খুবই ভাল হয়। তাহলে আর কোনওদিন আপসোস নিয়ে বলতে হবে নাম “ইশ যদি ওই সুন্দরীকে বিয়ে করতে পারতাম।” সইফের ওই সাক্ষাৎকারের পরেই ঝড় উঠেছিল। অনেকেই মনে করেছিলেন অমৃতার বয়স নিয়েই খোঁচা দিয়েছিলেন প্রাক্তন স্বামী।
১৯৯১ সালে বিয়ে হয়েছিল দু’জনের। সে বিয়ে ভাঙে ২০০৪ সালে। এরপর ২০১২ সালে করিনা কাপুরকে বিয়ে করেন সইফ আলি খান। এক ছবির শুটিং করতে গিয়ে নবাব প্রেমে পড়েন করিনার। তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে। তৈমুর ও জাহাঙ্গীর– এই মুহূর্তে সুখে সন্তান করছেন তাঁর। অন্যদিকে তাঁর ও অমৃতারও দুই সন্তান। তাঁরা হলেন সারা আলি খান ও ইব্রাহিম আলি খান। সারা ও ইব্রাহিম– দুজনেই বাবা-মায়ের মতোই অভিনয়কে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। সন্তানদের সঙ্গে কিন্তু সইফের সম্পর্ক বেশ ভালই। করিনার সঙ্গেও সম্পর্ক ভাল সারা ও ইব্রাহিমে। সারা একবার এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন বাবার দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত ছিলেন তিনি। হাজিরও হয়েছিল সেখানে। সাজিয়ে দিয়েছিলেন মা অমৃতা। যদিও অমৃতার সঙ্গে সইফের যোগাযোগ আর নেই। তাঁরা দু’জনেই এখন দুই মেরুর বাসিন্দা।