হাটের মাঝখানে তাকে ‘আমার পুরুষ’ বলে ডাকতে একটুও কুন্ঠিত হলেন না পাওলি। এতটুকু লজ্জা স্পর্শ করল না তাঁকে। এমনই তাঁর প্রেম। এমনই তাঁর ভালবাসার জোর। পাওলির কে এই আকাঙ্খিত পুরুষ? সোশ্যাল মিডিয়ায় যাকে ‘আমার পুরুষ’ বলে ডাকতে একেবারেই আড়ষ্ট নন নায়িকা। কার জন্য নায়িকার এমন আগল-খোলা প্রেম?
পাওলির মনে একরাশ গভীর ক্ষত। তাঁর সমস্তটুকু জুড়ে আজ দুঃখের মেঘ জমেছে। এক বুকফাটা কষ্টে ছিন্নভিন্ন নায়িকা। পাওলির ‘প্রেম’ তাঁকে ছেড়ে চলে গিয়েছে। চিরবিদায় জানিয়েছে। যার জন্য পাওলির এই আকুলি-বিকুলি প্রেম সে তাঁর পোষ্য। আদরের ‘রক্সি’। জাতে সে গোল্ডেন রিট্রিভার। এই পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে ‘রক্সি’ মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েছে গতকাল (৩০ মার্চ)। মাত্র বারো বছর সে এই পৃথিবীর আলো মেখেছে। পাওলির আদর খেয়েছে। তারপর সব মায়া কাটিয়ে নিয়তির নিয়ম মেনেই চলে গিয়েছে কোনও এক দিকশূণ্যপুরে। স্বাভাবিকভাবে পাওলির বুক ফেটে যাচ্ছে। তাঁর ভালবাসার রক্সি তাঁকে ছেড়ে চলে গিয়েছে, বিষণ্ণতায় মন ভারী পাওলির।
পাওলি কিন্তু প্রথম থেকে পোষ্য-প্রেমী ছিলেন না। কুকুরকে ভয়ই পেতেন। তিনি নিজেই জানিয়েছেন কুকুর দেখলেই উল্টোপথে হাঁটতেন। কিন্তু তাঁর জীবনে রক্সি আসার পর থেকে সব কিছু পাল্টে যায়। রক্সি তাঁর চোখ খুলে দিয়েছে। তিনি তাঁর আদরের রক্সির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে মন কেমন করে লিখেছেন, “রক্সি আমায় নতুন করে ভালবাসার মানে বুঝিয়েছে। ও আমার জীবনের অনেক কিছু বদলে দিয়েছে। রক্সি তো শুধু আমার বন্ধু নয়,ও ‘আমার পুরুষ’। ও মাত্র বারো বছর আমার সঙ্গে কাটালেও ওর স্মৃতি সারা জীবন আমার সঙ্গে থাকবে। তোমাকে মিস না করাটা খুব শক্ত,মাই লিটল গাই।”
আরও পড়ুন :মন ভাল করতে কোথায় বেড়াতে গেলেন গৌরব-ঋদ্ধিমা?
নিয়ম মেনেই মৃত্যু আসে। তবু আমাদের কাজ করে যেতেই হয়। পাওলিও তাঁর কাজ নিয়ে খুব ব্যস্ত। সদ্যই তিনি দিল্লি গিয়েছিলেন একটি ওয়েব সিরিজের কাজে। পরিচালক অর্জুন দত্তের ‘থ্রি কোর্স মিল’-এও তাঁকে দেখা যাবে।