একমাত্র বিজেপির সঙ্গেই আমার বিশ্বাস মিলেছে: পায়েল সরকার

স্বরলিপি ভট্টাচার্য |

Feb 25, 2021 | 1:58 PM

বৃহস্পতিবার হেস্টিংসে বিজেপির নির্বাচনী কার্যালয়ে হঠাৎই সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়ে পায়েল সরকারের নাম ঘোষণা করেন শমীক ভট্টাচার্য। এরপরই দিলীপ ঘোষের হাত থেকে বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নেন টলিপাড়ার এই অভিনেত্রী। মঞ্চে তখন বসে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। সভামঞ্চ থেকে নেমে পায়েল এক্সক্লুসিভলি কথা বললেন TV9 বাংলার সঙ্গে।

Follow Us

বিজেপিতে (BJP) যোগ দিলেন টলিউড অভিনেত্রী পায়েল সরকার (Payel Sarkar)। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের হাত থেকে পদ্ম-পতাকা তুলে নিলেন তিনি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী পায়েল গত কয়েক বছর ধরে টলিউডের অত্যন্ত জনপ্রিয় মুখ। ইদানিং তাঁকে সিনেমায় খুব একটা বেশি না দেখা গেলেও ওয়েব প্ল্যাটফর্মে কাজ করছেন চুটিয়ে। তবে রাজনীতির অলিন্দে তাঁর এই প্রবেশ সত্যিই চমকে দিয়েছে সকলকে। কারণ, তাঁকে কোনওদিনই সেভাবে রাজনৈতিক পরিসরে দেখা যায়নি। পায়েল যে রাজনীতিতে যোগ দিতে চলেছেন, তেমন কোনও জল্পনাও ছিল না। বৃহস্পতিবার হেস্টিংসে বিজেপির নির্বাচনী কার্যালয়ে হঠাৎই সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়ে পায়েল সরকারের নাম ঘোষণা করেন শমীক ভট্টাচার্য। এরপরই দিলীপ ঘোষের হাত থেকে বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নেন টলিপাড়ার এই অভিনেত্রী। মঞ্চে তখন বসে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। সভামঞ্চ থেকে নেমে পায়েল এক্সক্লুসিভলি কথা বললেন TV9 বাংলার সঙ্গে।

হঠাৎ রাজনীতি যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন কেন?

এত বছর ধরে কাজ করেছি, এত মানুষ ভালবেসেছেন আমাকে, এবার আমারও মানুষের জন্য কিছু করা উচিত। যদি রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার আসল কারণটা জানতে চান, এটাই সেটা। অনেস্ট কনফেশন।

রাজনীতি করবেন বলে বিজেপিকে বেছে নেওয়ার কারণ?

বাংলার মানুষের স্বপ্ন সোনার বাংলা। আমার তাই স্বপ্ন। সেই লক্ষ্যে বিজেপি কাজ করছে। বাংলার মানুষের স্বপ্ন পূরণ করতে পারব বিজেপিই। এই দলের সঙ্গে থাকলেই মানুষের জন্য কাজ করতে পারব। সে কারণেই বিজেপিকে বেছে নিলাম। সবথেকে বড় কথা, আমার বিশ্বাসের সঙ্গে বিজেপির বিশ্বাস মিলেছে।

তৃণমূল বা অন্যান্য দলের সঙ্গে বিশ্বাস মিলল না কেন?

কেন মিলল না-র থেকে বড় কথা। কাদের সঙ্গে মিলল। আমি পজিটিভ ভাবতে চাই। ফলে যেটা মিলেছে, সেটা নিয়ে কথা বলতে চাই।

 

এই মুহূর্তে টলিউডের বহু শিল্পী সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করছেন। বিভিন্ন দলের সদস্যপদ গ্রহণ করছেন। অনেকে অভিযোগ করছেন, নির্বাচনের আগে এই ধরনের যোগদান, সুবিধে পাওয়ার আশায়। আপনি কী বলবেন?

এই অভিযোগ তো আমি কখনও করিনি। ফলে যাঁরা করছেন, এই প্রশ্নের উত্তর তাঁরাই দিতে পারবেন।

পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল অর্থাৎ তৃণমূল ঘনিষ্ঠ না হলে, ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ না পাওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। আপনার এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে?

দেখুন, রাজনীতি আর অভিনয় সম্পূর্ণ দুটো আলাদা বিষয়। আমি কোন রাজনীতিতে বিশ্বাস করি, সেটা আলাদা। আর কাজের জায়গাটা আলাদা। ফেয়ার প্লে হলে কোনও বাধা আসা উচিত নয়। একটার জন্য আর একটা ক্ষতিগ্রস্থ হয় না।

এখন তাহলে অভিনয় ব্যাকফুটে?

না না। দুটো আলাদা মিডিয়াম। মেয়েরা তো মাল্টিটাস্কার। আমিও দুটো মিডিয়ামেই কাজ করব।

বিজেপিতে যোগদানের প্রধান অনুপ্রেরণা কি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী?

অবশ্যই। মোদীজি দেশের জন্য যেটা প্রয়োজন সেটা করেন, কত সমালোচনা হবে সেটা ভেবে কাজ করেন না। সেটা আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে।

আপনি মানুষের জন্য কাজ করবেন বললেন, কোন কোন ক্ষেত্রে কন্ট্রিবিউট করতে চান, কোনও পরিকল্পনা করেছেন?

মাথায় কিছু জিনিস রয়েছে। আইডিয়াগুলো নিয়ে আলোচনা করব। আজ তো সবে জয়েন করলাম। এবার অফিশিয়াল কথা শুরু হবে। পার্টি হেল্প করবে। যেটা এই মুহূর্তে বেশি প্রয়োজন, সেটা দেখতে হবে, সেভাবে কাজ করব। নতুন জার্নির জন্য শুভেচ্ছা… অনেক ধন্যবাদ।

আরও পড়ুন, মিথিলা এবার ‘রাজনীতিবিদ’, কিন্তু কোথায়?

বিজেপিতে (BJP) যোগ দিলেন টলিউড অভিনেত্রী পায়েল সরকার (Payel Sarkar)। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের হাত থেকে পদ্ম-পতাকা তুলে নিলেন তিনি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী পায়েল গত কয়েক বছর ধরে টলিউডের অত্যন্ত জনপ্রিয় মুখ। ইদানিং তাঁকে সিনেমায় খুব একটা বেশি না দেখা গেলেও ওয়েব প্ল্যাটফর্মে কাজ করছেন চুটিয়ে। তবে রাজনীতির অলিন্দে তাঁর এই প্রবেশ সত্যিই চমকে দিয়েছে সকলকে। কারণ, তাঁকে কোনওদিনই সেভাবে রাজনৈতিক পরিসরে দেখা যায়নি। পায়েল যে রাজনীতিতে যোগ দিতে চলেছেন, তেমন কোনও জল্পনাও ছিল না। বৃহস্পতিবার হেস্টিংসে বিজেপির নির্বাচনী কার্যালয়ে হঠাৎই সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়ে পায়েল সরকারের নাম ঘোষণা করেন শমীক ভট্টাচার্য। এরপরই দিলীপ ঘোষের হাত থেকে বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নেন টলিপাড়ার এই অভিনেত্রী। মঞ্চে তখন বসে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। সভামঞ্চ থেকে নেমে পায়েল এক্সক্লুসিভলি কথা বললেন TV9 বাংলার সঙ্গে।

হঠাৎ রাজনীতি যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন কেন?

এত বছর ধরে কাজ করেছি, এত মানুষ ভালবেসেছেন আমাকে, এবার আমারও মানুষের জন্য কিছু করা উচিত। যদি রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার আসল কারণটা জানতে চান, এটাই সেটা। অনেস্ট কনফেশন।

রাজনীতি করবেন বলে বিজেপিকে বেছে নেওয়ার কারণ?

বাংলার মানুষের স্বপ্ন সোনার বাংলা। আমার তাই স্বপ্ন। সেই লক্ষ্যে বিজেপি কাজ করছে। বাংলার মানুষের স্বপ্ন পূরণ করতে পারব বিজেপিই। এই দলের সঙ্গে থাকলেই মানুষের জন্য কাজ করতে পারব। সে কারণেই বিজেপিকে বেছে নিলাম। সবথেকে বড় কথা, আমার বিশ্বাসের সঙ্গে বিজেপির বিশ্বাস মিলেছে।

তৃণমূল বা অন্যান্য দলের সঙ্গে বিশ্বাস মিলল না কেন?

কেন মিলল না-র থেকে বড় কথা। কাদের সঙ্গে মিলল। আমি পজিটিভ ভাবতে চাই। ফলে যেটা মিলেছে, সেটা নিয়ে কথা বলতে চাই।

 

এই মুহূর্তে টলিউডের বহু শিল্পী সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করছেন। বিভিন্ন দলের সদস্যপদ গ্রহণ করছেন। অনেকে অভিযোগ করছেন, নির্বাচনের আগে এই ধরনের যোগদান, সুবিধে পাওয়ার আশায়। আপনি কী বলবেন?

এই অভিযোগ তো আমি কখনও করিনি। ফলে যাঁরা করছেন, এই প্রশ্নের উত্তর তাঁরাই দিতে পারবেন।

পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল অর্থাৎ তৃণমূল ঘনিষ্ঠ না হলে, ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ না পাওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। আপনার এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে?

দেখুন, রাজনীতি আর অভিনয় সম্পূর্ণ দুটো আলাদা বিষয়। আমি কোন রাজনীতিতে বিশ্বাস করি, সেটা আলাদা। আর কাজের জায়গাটা আলাদা। ফেয়ার প্লে হলে কোনও বাধা আসা উচিত নয়। একটার জন্য আর একটা ক্ষতিগ্রস্থ হয় না।

এখন তাহলে অভিনয় ব্যাকফুটে?

না না। দুটো আলাদা মিডিয়াম। মেয়েরা তো মাল্টিটাস্কার। আমিও দুটো মিডিয়ামেই কাজ করব।

বিজেপিতে যোগদানের প্রধান অনুপ্রেরণা কি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী?

অবশ্যই। মোদীজি দেশের জন্য যেটা প্রয়োজন সেটা করেন, কত সমালোচনা হবে সেটা ভেবে কাজ করেন না। সেটা আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে।

আপনি মানুষের জন্য কাজ করবেন বললেন, কোন কোন ক্ষেত্রে কন্ট্রিবিউট করতে চান, কোনও পরিকল্পনা করেছেন?

মাথায় কিছু জিনিস রয়েছে। আইডিয়াগুলো নিয়ে আলোচনা করব। আজ তো সবে জয়েন করলাম। এবার অফিশিয়াল কথা শুরু হবে। পার্টি হেল্প করবে। যেটা এই মুহূর্তে বেশি প্রয়োজন, সেটা দেখতে হবে, সেভাবে কাজ করব। নতুন জার্নির জন্য শুভেচ্ছা… অনেক ধন্যবাদ।

আরও পড়ুন, মিথিলা এবার ‘রাজনীতিবিদ’, কিন্তু কোথায়?

Next Article