পিতৃপক্ষের শেষ। দেবীপক্ষের সূচনা। ঢাকে কাঠি পড়ে গেলেও, পুজোর রঙ যেন সত্যিই কিছুটা ফিকে। আরজি কর ঘটনার পর থেকে মন ভাল নেই শহরবাসীর। উত্সব শুরু হয়ে গেলেও সেই আনন্দ যেন নেই। তাই পুজোর চারটে দিন শহর থেকে একটু দূরেই কাটাতে চান অভিনেত্রী পিঙ্কি বন্দোপাধ্যায়। তাঁর ১১ বছরের ছেলে,মা এবং ঠাকুমাকে নিয়েই তাঁর জীবন। এক দিকে সিরিয়ালের শুটিং, অন্য দিকে ছেলের পড়াশোনা, স্কুল সেই সঙ্গে মা-ঠাকুমার দেখভাল সবটাই একসঙ্গে সামলাতে হচ্ছে তাঁকে। বর্তমানে শহরের পরিবেশও খুব একটা ভাল নয়। চারিদিক উত্তপ্ত। মন মেজাজও ভাল নেই। সেই প্রভাব পড়েছে অভিনেত্রীর মনেও । এমনকি তাঁর একরত্তি ছেলেও তা অনুভব করতে পারছে।
পুজোর চারদিনের পরিকল্পনা বলতে গিয়ে এমন অনেক কথাই বলে ফেললেন তিনি। পুজোর চারটে দিন কী ভাবে কাটানোর পরিকল্পনা পিঙ্কির? TV9 বাংলার তরফে প্রশ্ন করা হয়েছিল তাঁকে। অভিনেত্রী বললেন, “আমি এখনও গড়িয়াহাট, হাতিবাগান থেকে বাজার দোকান করে থাকি। এবারে অদ্ভুত একটা জিনিস লক্ষ করলাম। এ বারে গড়িয়াহাটে কোনও ধাক্কাধাক্কি নেই। প্রতি বছর এ সময় যেমন মানুষের ভিড়ে পা রাখা যায় না। এবারে সর্বত্রই যেন এক বিষন্নতা গ্রাস করেছে। নিজের পুজোর পরিকল্পনাও করে উঠতে পারিনি।”
কথায় কথায় পিঙ্কি জানালেন, তাঁর ছেলে খুবই পরিণত মনের একটা মানুষ। বয়সে ছোট হলেও সে পরিস্থিতি উপলব্ধি করতে পারছে। তারও কোনও বায়না নেই। এমনকি প্রতি বছর তাঁর মা বা ঠাকুমা বলে থাকেন পুজোয় কোন ভাল রেস্তরাঁয় খেতে যাবেন। বা কোনও বিশেষ কিছুর পরিকল্পনা করে থাকেন। এ বছর আরজি কর মামলার শুনানি নিয়ে বেশি উদগ্রীব তাঁর পরিবারের সবাই। পিঙ্কি বললেন, “ওশ আর মা-ঠাকুমাকে নিয়ে আমার জগত্। ওরা সবাই পরিস্থিতি বুঝতে পারছে। তাই মনও ভাল নেই। কিন্তু এই চারটে দিনই তো লময়। তাই ভেবেছি কাছাকাছি কোথাও ঘুরে আসব। আগের বছরও আমি আর ওশ ঘুরতে চলে গিয়েছিলাম। এবারও ইচ্ছা আছে তেমনটাই। শান্তিনিকেতন আমার বেশ ভাল লাগে ইচ্ছা আছে তেমনই কোথাও যাওয়ার।”
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুতেই বিধায়ক তথা অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিকের সঙ্গে ডিভোর্স হয়েছে তাঁর। ছেলের দায়িত্ব সম্পূর্ণ অভিনেত্রীরই। তাই আপাতত মা-ছেলেতে মিলে ভাল ভাবে বাকি জীবনটা কাটাতে চান।