AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

“আমি অখণ্ড ভারতের কথা বলি, আর আমার বিরুদ্ধেই জাতিকে বিভক্ত করার অভিযোগ!”

কঙ্গনার বিরুদ্ধে অভিযোগ, টুইট করে তিনি দেশে ঘৃণা ও অসামঞ্জস্যতা ছড়াচ্ছেন। কঙ্গনার টুইটার অ্যাকাউন্ট স্থগিত করে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।

“আমি অখণ্ড ভারতের কথা বলি, আর আমার বিরুদ্ধেই জাতিকে বিভক্ত করার অভিযোগ!”
কঙ্গনা রানাওয়াত। ছবি: ইনস্টাগ্রামের সৌজন্যে।
| Updated on: Dec 04, 2020 | 10:31 AM
Share

গত কয়েকদিন ধরেই কৃষক প্রতিবাদে উত্তাল দিল্লি। আর সেখানেই অংশ নেওয়া এক শিখ বৃদ্ধাকে কটাক্ষ করে বিতর্কে জড়িয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। বৃহস্পতিবারই বলিউডের অভ্যন্তরে কঙ্গনার বিরুদ্ধে পাল্টা স্বর শোনা গিয়েছে দিলজিৎ দোসাঞ্জ, হিমাংশি খুরানার গলায়। এবার এই বিষয়ে মুম্বই হাইকোর্টে কঙ্গনার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করা হল।

কঙ্গনার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ট্যুইট করে তিনি দেশে ঘৃণা ও বৈষম্য ছড়াচ্ছেন। কঙ্গনার ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট স্থগিত করে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন, সপরিবারে কোন অনুষ্ঠান সেলিব্রেট করলেন কনীনিকা?

যদিও কঙ্গনার দাবি, “আমি সব সময় অখণ্ড ভারতের কথা বলি। প্রতিদিন টুকড়ে গ্যাংয়ের সঙ্গে লড়াই করছি। আর আমার বিরুদ্ধেই জাতিকে বিভক্ত করার অভিযোগ আনা হল! অসাধারণ! যাই হোক, ট্যুইটার আমার একমাত্র মাধ্যম নয়। বরং আমার কথা শোনার জন্য এক মুহূর্তে অনেকগুলো ক্যামেরা হাজির হয়ে যাবে।”

ঘটনার সূত্রপাত গত ২৭ নভেম্বর। সেদিন কঙ্গনা ট্যুইট করে দাবি করেন, শাহিনবাগের দাদি বিলকিস বানো কৃষক আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন। ১০০ টাকা দিয়ে তাঁকে এই আন্দোলনের জন্য ভাড়া করা হয়েছে। সঙ্গে একটি ছবিও পোস্ট করেছিলেন। পরে তা ডিলিট করে দেন। কিন্তু ছবিটি ছিল মাহিন্দর কৌর নামে এক বৃদ্ধার। তাঁর একটি বক্তব্যের ভিডিও গতকাল পোস্ট করেন দিলজিৎ দোসাঞ্জ। তিনি লেখেন, ‘কঙ্গনা দেখুন, কে কাকে ১০০ টাকা দিয়ে ভাড়া করেছে।’

আরও পড়ুন, চিড়িয়াখানায় সৃজিত- আয়রার ‘ডে-আউট’, শেয়ার করলেন ছবি

কঙ্গনাও ছেড়ে দেওয়ার পাত্রী নন। দিলজিৎকে তিনি পরিচালক তথা প্রযোজক করণ জোহরের পোষ্য বলে ট্যুইটেই আক্রমণ করেন। ফের দিলজিৎ অভিনেত্রীকে চিৎকার না করার পরামর্শ দেন।

যে কোনও বিষয়ে মন্তব্য করে শিরোনামে থাকেন কঙ্গনা। তিনিই এই মুহূর্তে বলিউডের কন্ট্রোভার্সি কুইন। যদিও কোনও কিছুতে পাত্তা দিতে নারাজ তিনি। তবে এই ঘটনার পর সত্যিই তাঁর ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট স্থগিত করা হবে কি না, সেটাই এখন দেখার।