জীবনের প্রথম অধ্যায় প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিল, কেন বললেন পূজা ‘বেগম’ ভাট?
অফারটি আমার কাছে এমন এক সময় আসে, যে সময় মহিলাদের শুনতে হত, যে তুমি তোমার 'প্রাইমটাইম' পেরিয়ে এসেছ।
২০ বছর বিরতির পর আবার স্ক্রিনে ফিরছেন অভিনেত্রী পূজা ভাট। নেটফ্লিক্সের নতুন সিরিজ ‘বম্বে বেগমস’ -এ পূজা ভাট করছেন অভিনয়। তাঁকে শেষ দেখা গিয়েছিল ‘এভরিবডি সেস আই অ্যাম ফাইন’ (২০০১)। সম্প্রতি নতুন সিরিজ নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে কামব্যাক এবং ‘বম্বে বেগমস’ প্রসঙ্গে মুখ খোলেন পূজা ভাট এবং পরিচালক আলংকৃতা শ্রীবাস্তব।
সংবাদ মাধ্যম পরিচালককে প্রশ্ন করে, কেন পূজাকে ‘বেগম বস’ হিসেবে বাছলেন? পরিচালক আলংকৃতা বলেন, “আমি ওঁকে (পূজা) ‘ড্যাডি’ এবং ‘জখম’ ছবিতে দেখে খুব পছন্দ হয়েছিল। ‘দিল হ্যায় কি মানতা নহি’ দেখেছি একুশ বার। গ্রীষ্মের ছুটিতে ওই ছবি আমার ও বোনের কাছে ভীষণ প্রিয় এক ব্যাপার ছিল। আমার মনে হয়েছিল যে ও খুব বাস্তবধর্মী এবং আধুনিক এবং সেটা ভীষণ রিফ্রেশিং। কাস্টিংয়ের সময় আমরা এমন কারওর কথা ভাবছিলাম যার মধ্যে শক্তি এবং দূর্বলতা দুইই থাকবে। যার মধ্যে জোর রয়েছে কিন্তু নরম প্রকৃতির আবার উচ্চাকাঙ্ক্ষার কথা যখন ওঠে তিনি তখন খুব শক্ত। তিনি এরকম কারণ বিভিন্ন উতরাই-চরাইয়ের মধ্যে দিয়ে সে গিয়েছে। অভিনেতার ঠিকঠাক বয়স হতে হবে এবং মনের জোরও রাখতে হত।
আরও পড়ুন ‘ট্রেন’ থেকে নেমে ‘শাটল কক’ হাতে এবার কোর্টে পরিণীতি চোপড়া
সব ভেবেচিন্তে আমি পূজার কথাই ভেবেছিলাম। যদিও তিনি আগ্রহী হবে কিনা সে সম্পর্কে আমি নিশ্চিত ছিলাম না। তবে ওঁর সঙ্গে সাক্ষাতের পরে আমি জানতাম তিনি ‘বেগম’ হতে চলেছেন। উনি স্ক্রিপ্ট পড়েছিলেন, বুঝেছিলেন এবং আমাদের উদ্দেশ্য বুঝতে পেরেছিলেন। এর পরে আর কোনও অভিনেতার সঙ্গে দেখা করতে রাজি হইনি।”
দু’দশক পর কী কারণে পূজা ফিরলেন স্ক্রিনে? পূজার কাছে ছিল সংবাদমাধ্যমের প্রশ্ন। অভিনেত্রী বলেন, “আমি এমন এক অবস্থায় ছিলাম যখন আমি নিজেকে একজন অভিনেত্রী বা মুখ্য মহিলা চরিত্রে হিসেবে দেখতে পারছিলাম না। আমি কিশোরী বয়স থেকে তারকা হয়ে উঠেছিলাম। এবং তারপর ইনডিপেনডেন্ট ছবি ফলো করছিলাম। পরে একজন প্রযোজক-পরিচালক হয়েছি। আমার জীবনের প্রথম অধ্যায় প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিল। মানসিকভাবেও এগিয়ে গিয়েছিলাম। এবং তারপরই এমন এক প্রস্তাব আসে। আমি সম্মতি জানাই কারণ আমি ভেবেছিলাম এটি এমন কিছু যা আমাকে অন্য যে কোনও জিনিসের চেয়ে বেশি দিতে পারবে। অফারটি আমার কাছে এমন এক সময় আসে, যে সময় মহিলাদের শুনতে হত, যে তুমি তোমার ‘প্রাইমটাইম’ পেরিয়ে এসেছ। এটা আমাকে সীমানা ছাড়িয়ে কাজ করতে সুযোগ দিয়েছিল।”