
বহুদিন প্রেম করার পর অবশেষে সাত পাকে বাঁধা পড়লেন বলিউড অভিনেতা তথা স্মিতা পাটিল ও রাজ বব্বর পুত্র প্রতীক বব্বর। প্রেমিকা বাঙালিকন্যা তথা অভিনেত্রী প্রিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলাতেই মালা দিলেন প্রতীক। প্যাস্টেল শেডের পোশাকেই দুজনেই সেজে উঠেছিলেন। প্রতীক ও প্রিয়ার বিয়ে ছিল একেবারেই ছিমছাম। সোশাল মিডিয়ায় ছাদনাতলার ছবি শেয়ার করে প্রিয়া ও প্রতীক নিজেই।
প্রতীক ও রিয়া আগেই জানিয়ে ছিলেন, তাঁদের এই বিয়ে হবে একেবারেই ছিমছাম। খুব কাছের মানুষরা থাকবে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত। তবে সূত্র বলছে, প্রতীক নাকি তাঁর বাবা অর্থাৎ অভিনেতা রাজ বব্বরকে বিয়েতে নিমন্ত্রণই করেননি! তবে এই খবর রটলেও, এই নিয়ে মুখ খোলেননি কেউই।
প্রতীক বব্বর, স্মিতা পাটিল ও রাজ বব্বরের একমাত্র ছেলে। স্মিতার সঙ্গে রাজ কখনই তাঁর সম্পর্ককে মান্যতা দেননি। এমনকী, বাবার থেকে দূরে দূরে থেকেই বড় হয়েছেন প্রতীক। রাজ বব্বরের সঙ্গে খুব একটা ভালো সম্পর্কও নেই তাঁর বলে শোনা যায়।
২০২৩ সালেই প্রতীক ও প্রিয়ার প্রেমের খবর সামনে আসে। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে প্রিয়া জন্মদিনই, তাঁকে প্রেমের প্রস্তাব দেন প্রতীক। সেই সময় তিনি জানিয়ে ছিলেন, আমি সেপারেশনে ছিলাম। আর প্রিয়া সবে তাঁর এনগেজমেন্ট ভেঙেছিল। ঠিক সেই সময়ই আমাদের দেখা হয়। বন্ধুত্ব হয়। যখন প্রথমবার প্রিয়ার ঠোঁটে ঠোঁট রেখেছিলাম, সেদিনই বুঝতে পেরেছিলাম, প্রিয়াই আমার জীবন। আর তাই প্রেমের প্রস্তাব দিতে দেরি করিনি।
এর আগে সন্যা সাগরকে বিয়ে করেছিলেন প্রতীক। তবে সে সম্পর্ক বেশিদিন টেকেনি। ২০২৩ সালে বিচ্ছেদ হয় তাঁদের। এর পরেই প্রিয়াকে মন দিয়েছেন প্রতীক।
প্রিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। বাঙালি কন্যা। বলিউডের সঙ্গে সঙ্গে তামিল, তেলুগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে দারুণ জনপ্রিয় অভিনেত্রী। বেকাবু, হ্যালো মিনি, অসুরা, বারিশ-এর মতো ছবিতে নজর কেড়েছিলেন প্রিয়া। এই মুহূর্তে বেশ কয়েকটি ওয়েব সিরিজের কাজেও ব্যস্ত তিনি।