ভালবাসার সপ্তাহ চলছে। সপ্তাহ জুড়ে চলবে সেলিব্রেশন। আজ টেডি ডে। ভালাবাসার মানুষকে টেডি উপহার দিন। সঙ্গে জেনে নিন তিন অভিনেত্রীর মনের কথা। কেন টেডি তাঁদের পছন্দ, তা শেয়ার করলেন প্রমিতা চক্রবর্তী, ঐন্দ্রিলা সেন এবং স্বস্তিকা দত্ত।
প্রমিতা চক্রবর্তী
ছোট থেকেই টেডি ভাল লাগে। ছোটবেলায় বার্বি ভাল লাগত। বার্বির সেটগুলো নিয়েই থাকতাম। বার্বিকে স্নান করাতাম। কিচেনের সেট নিয়ে খেলতাম। তখন টেডিটা দ্বিতীয় পছন্দ ছিল। বড় হয়ে দেখলাম, টেডি বেশি পছন্দের হয়ে গেল। সফট টেডিগুলো জড়িয়ে থাকতে ভাল লাগে। স্কুল থেকে ফিরতাম যখন, ফেরার রাস্তায় প্রচুর দোকান ছিল। টেডি বা বার্বি থাকত। খুব বায়না করতাম মায়ের কাছে। ফোর-ফাইভ তখন। রোজই নতুন বার্বি বা টেডি হলে ভাল হয়। মাসে একটা করে টেডি কিনে দেবে মা, এমন একটা ব্যাপার ছিল। এখন সেটা বাবা-মায়ের থেকে রুদ্রর উপর চলে এসেছে। প্রতি মাসে হয় না, তবে রুদ্র আমাকে দুটো টেডি গিফট করেছে।
লাল রং ভাল লাগে। সফট রঙের টেডি পছন্দ। পিঙ্ক, পিচ, সাদা রঙের টেডি বা সফট টয় ভাল লাগে। রুদ্র সঙ্গে শপিংয়ে কোনও মলে গেলে টেডি শপে চলে যাই। রুদ্র বলে, ‘এরকম গার্লফ্রেন্ড তো অদ্ভুত! এখানে তো বাচ্চারা বেশি আসে।’ তবে এখন অনেকটা অভ্যেস হয়ে গিয়েছে ওর। বুঝতে পারে, গিফট করে আমাকে।
ঐন্দ্রিলা সেন
টেডিবিয়ার তো ভীষণ ভালবাসি। এমন নয় যে টেডিটা অঙ্কুশকেই দিতে হবে। সবাই দিলে আমি বেশি খুশি হব। অঙ্কুশ অনেক দিন আগেই বিরাট একটা টেডি দিয়েছিল আমাকে। কোনও টেডি ডে-তে নয়। এমনিই কোনও দিন। ওর থেকে বড় আর হয় না। তারপর থেকে ছোট ছোট টেডি দিয়েছে। তখন হয়তো ভেবেছিল, বাচ্চা মেয়ে টেডি ছাড়া আর কী ভালবাসবে? আমি সেটা দেখে পাগল হয়ে গিয়েছিলাম। নিজেও পান্ডা, হনুমান এ সব সফট টয় দিয়ে ঘর সাজাতে ভালবাসে। আমরা দুজনেই সফট টয় ভালবাসি।
কয়েকদিন আগেই মিষ্টি ছোট একটা পান্ডা কিনে দিয়েছে। সেটা আমাদের ঘরে থাকে। আমার একটা পিঠের ব্যাগ রয়েছে। বাঘ। ওটা আমি থাইল্যান্ড থেকে কিনেছি। মানে, অঙ্কুশ কিনে দিয়েছে। টম অ্যান্ড জেরি আছে আমার। অনেক কিছু আছে। এসব চলতেই থাকে আমাদের। এমন নয় যে, টেডি ডে বলে টেডি দিতে হবে। পছন্দ করি, তাই কেনা চলতেই থাকে।
স্বস্তিকা দত্ত
মেয়েদের টেডি বিয়ারের প্রতি একটা ক্রেজ থাকে। কিন্তু আমার সেটা কোনওদিনই ছিল না। মানে, টেডি কিনতেই হবে, এমন কোনও বিষয় ছিল না। কিন্তু এখনও আমার ঘরে অনেক সফট টয় রয়েছে। আমাকে একজন বলেছেন, টেডি হল সবচেয়ে শান্ত এবং ওদের কোনও ইমোশন নেই। এক এক সময় আমি নিজে ওই জোনে চলে যাই। মানে ব্যক্তিগত জীবনে আমি টেডির মতো হয়ে যাই।
যদি আজ অর্থাৎ টেডি ডে-তে আমাকে কেউ টেডি গিফট করেন, তাহলে গিফট পাওয়ার পর প্রথমেই আমি চিৎকার করব, কেন টেডি দিলেন? কারণ বাড়িতে রাখার জায়গা নেই। হা হা হা…। তবে ব্রাউন টেডি উইথ ব্ল্যাক আই আমার পছন্দ।
আরও পড়ুন, ঊষসীর প্রথম ছবি ‘ইস্কাবনের রানি’, সঙ্গে কাঞ্চন মল্লিক