
নৈহাটির কাঁঠালপাড়ায় বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিনে তাঁর বাসভবনে পৌঁছে গিয়েছিল টিম ‘দেবী চৌধুরাণী’। পর্দায় দেবী চৌধুরাণী হচ্ছেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। ভবানী পাঠকের চরিত্রে দেখা যাবে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে। ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন দর্শনা বণিক আর বিবৃতি চট্টোপাধ্যায়। বঙ্কিম ভবনে একটু বেলা গড়াতে প্রসেনজিৎ আর বাকি তারকারা ঢোকার পর তাঁদের দেখার জন্য উপচে পড়ছিল ভিড়।
নৈহাটির এই বাড়ি ভারি সুন্দর। এখানে বঙ্কিম চন্দ্রের শয়নকক্ষ থেকে বাড়ির দালান, বারান্দার লাল মেঝে থেকে রাধা-কৃষ্ণের মন্দির সবই মুগ্ধ করলো প্রসেনজিৎকে। প্রসেনজিতের কথায়, ”আমি সাহিত্যনির্ভর ছবি করতে ভালোবাসি। যখন কাকাবাবুর চরিত্র করেছি, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়ি গিয়েছি। ‘চোখের বালি’ করার সময়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকু্রের বাড়ি গিয়েছিলাম আমরা। আমি অনেক সময়ে একাই ঘুরে আসি। সকলকে যে বলি এমন নয়। তবে এবার মহান লেখকের জন্মদিনের সময়েই ‘দেবী চৌধুরাণী’-র প্রচার শুরু হওয়ার কথা ছিল। দু’টো একই সময়ে হওয়ায় টিমকে নিয়ে এলাম। তবে এই বাড়িতে আসাটা শুধু প্রচারের জন্য নয়।’’
তারকা এমন ভাবলেও, তাঁর অনুরাগীদের আবদার যে বাঁধ মানে না। বঙ্কিম ভাবনে দাঁড়িয়েই একজন অনুরাগীর আবদার, ”’দেবী চৌধুরাণী’ ছবি থেকে একটা সংলাপ বলুন প্লিজ’’। এ কথা শুনেই প্রসেনজিৎ উত্তর দিলেন, ‘’আমি এখানে মাচা করতে আসিনি যে, সংলাপ বলব।’’ সুপারস্টার গলায় ছিল বকা দেওয়ার সুর। তারপর আর কেউ সংলাপ শুনতে চাননি। এরপর টিম গিয়েছিল বড়মা’র মন্দিরে আশীর্বাদ নিতে। সেখানে তারকাদের দেখতে ছিল উপচে পড়া ভিড়। মন্দিরের বারান্দা থেকে অনুরাগীদের ভালোবাসা জানাতে হাত নাড়েন প্রসেনজিৎ। মন্দিরে পুজো দিলেন তিনি। এখন দুর্গাপুজোতে ‘দেবী চৌধুরাণী’ মুক্তির অপেক্ষা।