
বছরের প্রথম ছ’ মাসে সবচেয়ে ভালো ব্যবসা করেছে কোন-কোন ছবি, সেই চিত্র এবার স্পষ্ট। এই বছর ব্লকবাস্টার ‘দ্য একেন: বেনারসে বিভীষিকা’। দু’ টো ছবি সুপারহিট হয়েছে। নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘আমার বস’ আর সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘কিলবিল সোসাইটি’। হিটের তালিকায় রয়েছে ‘পুরাতন’, ‘এই রাত তোমার আমার’, ‘সত্যি বলে সত্যি কিছু নেই’ আর ‘গৃহপ্রবেশ’। জাতীয় স্তরের মাল্টিপ্লেক্সে এই ছবিগুলোর ব্যবসার অঙ্ক ৫০ লাখ টপকাতে পেরেছে।
এর মধ্যে ‘পুরাতন’ তৈরি হয়েছে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর প্রযোজনা সংস্থা ‘ভাবনা আজ ও কাল’-এর হাত ধরে। সুমন ঘোষের পরিচালনায় এই ছবিটাই শর্মিলা ঠাকুর অভিনীত শেষ বাংলা ছবি। লক্ষণীয়, সাতটি হিট ছবির মধ্যে পাঁচটি তৈরি হয়েছে টলিপাড়ার সবচেয়ে নামী দুই প্রযোজনা সংস্থা থেকে। সেখানে ঋতুপর্ণার প্রযোজনা সংস্থা যেভাবে নজর কাড়ল আর একটা হিট ছবি উপহার দিল, তা প্রশংসার দাবি রাখে। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, এবার এই প্রযোজনা সংস্থার কোনও ছবির ব্যবসার অঙ্ক কোটির ক্লাবে ঢুকে পড়ল।
এই ব্যাপারে উচ্ছ্বসিত অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। অভিনয়ে তিনি গত ৩০ বছর ধরেই তাক লাগিয়ে দিচ্ছেন। জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রীর বাংলা বাণিজ্যিক ছবি থেকে অন্যধারার ছবিতে অবাধ বিচরণ। এবার প্রযোজক হিসাবেও এতটাই নজর কেড়েছেন যে টলিপাড়ায় অনেকে মনে করছেন, প্রতি বছরই এই প্রযোজনা সংস্থার হাত ধরে একটা হিট ছবি উপহার পাওয়া যাবে। ঋতুপর্ণা অবশ্য TV9 বাংলার সঙ্গে সাক্ষাত্কারে আগেই বলেছেন, ”এমন বাংলা ছবির সঙ্গেই বরাবর যুক্ত হতে চেয়েছি, যেগুলো বছরের পর বছর দর্শকের মনে থাকবে। বাংলা ছবির ইতিহাসে যার গুরুত্ব থাকবে। সেই কারণে ‘আলো’-র মতো ছবি তৈরি করেছি। ‘দত্তা’ মতো গল্প নিয়ে কাজ করেছি। ‘পুরাতন’ শুধু বাণিজ্যে নয়, প্রভাবেও গুরুত্বপূর্ণ হবে, সেই প্রত্যাশা রয়েছে।”
নায়িকার প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। এই বছর তাঁর প্রযোজিত ছবি যেমন বাণিজ্য সফল, তেমনই গুণগত মানের নিরিখেও চর্চিত হচ্ছে।