
রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। বরাবরই তিনি বেশ স্পষ্ট বক্তা। যে কোনও বিষয় তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলেই দিয়ে থাকেন স্পষ্ট উত্তর। সে সম্পর্কই হোক, বা টলিউড ইন্ডাস্ট্রির গোপন কথা। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় শেয়ার করতে পিছপা হন না। তাই বলে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সিক্রেট! তা নিয়ে ভরা সভায় মুখ খুললেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বহু হিট ছবি উপহার দিয়েছেন অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। মজা করে একবার রচনা বলেই বসেছিলেন, ‘কেন প্রসেনজিৎ ভাবলেন না রচনার সঙ্গেও প্রেম করা যায়?’ শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের সঞ্চালনায় জি বাংলার টক শো ‘অপুর সংসার’-এ এসে খোলা মনে আড্ডায় মেতেছিলেন অভিনেত্রী তথা বর্তমান সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসেনজিতের গোপন রহস্য ফাঁস করেছিলেন অভিনেত্রী। পর্দায় যিনি দাপুটে হিরো, ব্যক্তিজীবনে তিনি বেজায় ভীতু।
তবে রচনার কথা যে ভুল নয়, তা তৎক্ষণাৎ শেয়ার করলেন অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। জানালেন, একবার তাঁরা একটা জায়গায় শো করতে গিয়েছিলেন। প্রসেনজিৎকে দেখবে বলে কাতারে কাতারে ভিড়। কিন্তু কোথায় প্রসেনজিৎ! তিনি ভয়ে একটা কোণে দাঁড়িয়ে। কেবল তিনি দাঁড়িয়ে নন, পাশাপাশি অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়কেও আটকে রেখেছিলেন। বেরতে দিচ্ছিলেন না সেখান থেকে। প্রত্যেকেই জানে এই সহজ সত্য, ভিড় বেশ কিছুটা এড়িয়ে যেতেই পছন্দ করেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। সামলে-সামলে চলেন। তাঁর গাড়ি ৪০ কিমি-র ওপরেও ওঠে না।
এদিন তিনি সম্পর্ক নিয়েও মুখ খোলেন, বলেছিলেন, ‘যারা আমরা এই পেশায় (অভিনয়) কাজ করি, বিশেষ করে মেয়েরা, তাঁদের এমন কাউকে বিয়ে করা উচিত, যাঁরা এই পেশাটাকে বুঝবে। যদি এই পেশার মানুষ হন, খুবই ভাল, নয়তো, সেই বোধটা থাকা প্রয়োজন। তেমন মানুষের সঙ্গেই সংসারটা করা উচিত। কারণ আমাদের পেশাটা এতটা আলাদা অন্যদের থেকে। সেই মানুষটাকেও অনেক ক্ষেত্রে অনেকটা মানিয়ে নিতে হয়। নয়তো সুখী ঘর হওয়া খুব মুশলিক।’