প্রচারের ব্যস্ততায় রাজের মন ভাল রাখতে কী করছেন শুভশ্রী?

স্বরলিপি ভট্টাচার্য |

Mar 31, 2021 | 1:25 PM

আসন্ন নির্বাচনে তিনি তৃণমূলের টিকিটে ব্যারাকপুর কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ফলে প্রতিটি দিন এখন কর্মীসভা, প্রচার নিয়ে ব্যস্ত তিনি। বাড়িতে থাকা হচ্ছে না। তাই ছেলেকে মিস করছেন রাজ।

প্রচারের ব্যস্ততায় রাজের মন ভাল রাখতে কী করছেন শুভশ্রী?
দম্পতি। ছবি: ইনস্টাগ্রামের সৌজন্যে।

Follow Us

বয়স ছ’মাস। ধীরে ধীরে নিজের চেষ্টায় উঠে দাঁড়াতে শিখছে ইউভান চক্রবর্তী (Star Kid)। পরিচালক রাজ চক্রবর্তী (Raj Chakrabarty) এবং অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের (Subhashree Ganguly) ছেলে হাঁটতে শিখছে ধীরে ধীরে। ছেলের বড় হওয়ার প্রতিটি মুহূর্ত সামনে থেকে প্রত্যক্ষ করতে চেয়েছিলেন রাজ। কিন্তু আসন্ন নির্বাচনে তিনি তৃণমূলের টিকিটে ব্যারাকপুর কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ফলে প্রতিটি দিন এখন কর্মীসভা, প্রচার নিয়ে ব্যস্ত তিনি। বাড়িতে থাকা হচ্ছে না। তাই ছেলেকে মিস করছেন রাজ।

ছেলের একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল ওয়ালে শেয়ার করেছেন পরিচালক। রাজ লিখেছেন, ‘আমার ছ’মাসের ছেলে উঠে দাঁড়াতে শিখে গিয়েছে। এখন তো মিউজিকের সঙ্গেও রিঅ্যাক্ট করছে। শুভশ্রী তোমাকে ধন্যবাদ। ছেলের বেড়ে ওঠার ছোট ছোট মুহূর্তগুলো তুমি আমাকে মিস করতে দিচ্ছ না। আমার খারাপ লাগছে আমি সামনে নেই। তবে আমাকে এগুলো পাঠানোর জন্য ধন্যবাদ, যাতে কিছুটা হলেও কম মিস করি।’

নির্বাচনী প্রচার শুরু করার পর শুভশ্রী এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সঙ্গে পুরীতে জগন্নাথদেবের মন্দিরে পুজো দিয়েছেন রাজ। সেই আশীর্বাদ মাথায় নিয়ে জয়ের লক্ষে এগিয়ে চলেছেন তিনি। প্রচারের ব্যস্ততায় ছেলের জন্য যাতে রাজের মন খারাপ না হয়, তার জন্য নিয়ম করে ছেলের ভিডিয়ো তুলে রাজকে পাঠিয়ে দিচ্ছেন শুভশ্রী।

ব্যারাকপুরে দাঁড়িয়ে রাজ বলেন, “ছোটবেলা থেকে আমার আইডল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মনে হত, যদি কোনওদিন বড় হই, ওঁর মতো করে লড়াই করে বড় হব। আমি ছোট থেকে দেখেছি, সিপিএম কাউকে ভোট দিতে দিত না। সে কারণে সিপিএমকে পছন্দ করতাম না। দিদি আমাদের অভিভাবকের মতো। ২০১১ থেকেই ওঁর সঙ্গে ছিলাম। তবে রাজনীতির ময়দানে সরাসরি আসব, কখনও ভাবিনি।”

আরও পড়ুন, ফের বলিউডে সোহম, এ বার ঈশানের সঙ্গে ‘পিপ্পা’য় অভিনয়

২০২১-এ হঠাৎ কী এমন হল, যাতে সরাসরি রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন রাজ? তাঁর কথায়, “এমন একটা সময় এল, যখন কাছের মানুষরা দিদিকে ছেড়ে গেল। তখন মনে হল, দিদি যাদের আগলে রেখেছে, বিপদে আপদে পাশে থেকেছে, এই সময় যদি পাশে না থাকি, সেটা ঠিক নয়।” হালিশহরে বড় হওয়া রাজ দাবি করেছেন, ব্যারাকপুর তাঁর চেনা জায়গা। তাঁর আবেদন, “আমাকে কী করতে হবে, আমাদের কী করতে হবে, আপনারা বলুন। খেলা দেখিয়ে দেব আমরা।”

Next Article