‘দেখতে দেখতে চার বছর’, মধুবনীকে শুভেচ্ছা রাজার
করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে লকডাউন পর্বে খুব সচেতন ভাবেই ফ্যামিলি প্ল্যানিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দম্পতি।
৯ ডিসেম্বর অভিনেতা জুটি রাজা (Raja Goswami) এবং মধুবনীর (Madhubani Goswami) জীবনে বিশেষ দিন। এই দিনেই সামাজিক ভাবে বিয়ে করেছিলেন তাঁরা। যৌথ যাপনের আজ চার বছর। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে মধুবনীকে চতুর্থ বিবাহবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাজা। একইসঙ্গে টেলিভিশনের এই জনপ্রিয় জুটিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাঁদের অনুরাগীরা।
চলতি বছরের বিবাহবার্ষিকী আরও একটা কারণে স্পেশ্যাল রাজা-মধুবনীর জীবনে। প্রথম সন্তানের জন্য অপেক্ষা করছেন দম্পতি। তাই সব রকম সাবধানতা বজায় রেখে বাড়িতেই রয়েছেন মধুবনী। বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে সেলিব্রেশন আপাতত স্থগিত।
আরও পড়ুন, মেয়ের বয়স তিন মাস, সেলিব্রেট করলেন অঙ্কিতা
View this post on Instagram
করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে লকডাউন পর্বে খুব সচেতন ভাবেই ফ্যামিলি প্ল্যানিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁরা। অগস্ট মধুবনীর জন্মমাস। গত অগস্টেই জানতে পারেন, সন্তান আসছে। মধুবনী আগেই বলেছিলেন, “২০২০ বছরটা আমাদের সকলের কাছে নেগেটিভ বছর। বিবিধ ক্ষতি হচ্ছে সব দিকে। আমি আর রাজা ভেবেছিলাম, এই নেগেটিভিটিটাকে পজিটিভিটিটে নিয়ে যাব কী করে। আমদের মনে হয়েছিল, নেগেটিভিটিটাকে পজিটিভিতে টার্ন ওভার করার এটাই সেরা সময়। কাজেরও তেমন প্রেশার নেই। লকডাউনে কারও কাজ ছিল না। দু’জনেই সুন্দর করে সময় দিতে পারব। যে যার মতো সিরিয়ালে কাজ করলেও আমরা একসঙ্গে যাত্রা করি। সেটা খুব সময়সাপেক্ষ। এই সময়টা কাজ না থাকায় নিজেকে অনেক বেশি সময় দিতে পারব। আমি ২৪ বছর বয়সে বিয়ে করেছিলাম। ৪-৫ বছরের মধ্যে প্ল্যান করব ভেবেছিলাম। ভগবানের আশীর্বাদে আমার জন্মমাস অগস্টেই খবরটা পেয়েছি। সেটাই এই বছর আমার বার্থডে গিফট।”
আরও পড়ুন, ডোলান্ড নয়, আমাকে ডোনাল্ড বললেই আমি খুশি: জয়জিৎ
‘ভালবাসা ডট কম’ ধারাবাহিকে প্রথম একসঙ্গে কাজ করেছিলেন রাজা এবং মধুবনী। এরপর একে একে ‘চিরদিনই আমি যে তোমার’, ‘কোজাগরী’, ‘সত্যমেব জয়তে’-র মতো ধারাবাহিকে কাজ করেন রাজা। এখন তিনি ‘খড়কুটো’ ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন। অন্যদিকে ‘সাত ভাই চম্পা’, ‘ফাগুন বউ’, ‘ভানুমতির খেল’ ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন মধুবনী। পুজোর আগেই নিজস্ব সালোঁর সূচনা করেছেন। সে কাজ নিয়ে ব্যস্ত তিনি। এই মুহূর্তে নতুন কোনও ধারাবাহিকের কাজ শুরু করবেন না বলে জানিয়েছিলেন। সন্তানের জন্মের পর ফের কাজে ফেরার ইচ্ছে রয়েছে তাঁর।