বিশেষভাবে সক্ষমদের নিয়ে আরও ছবি হোক বলিউডে: রানি

স্বরলিপি ভট্টাচার্য |

Dec 03, 2020 | 7:01 PM

রানি নিজে ডিসেবল বা বিশেষভাবে সক্ষম মানুষদের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শিখেছেন অনেক কিছু।

বিশেষভাবে সক্ষমদের নিয়ে আরও ছবি হোক বলিউডে: রানি
রানি মুখোপাধ্যায়।

Follow Us

মিশেল কে মনে আছে? কিংবা নয়না মিস? বিশেষভাবে সক্ষম ছিলেন এরা। আর পাঁচজনের মতো সহজ, সরল, স্বাভাবিক জীবন ছিল না তাঁদের। প্রতিদিন যুঝতে হতো হাজার বাধা-বিপত্তির সঙ্গে। সহ্য করতে হতো হাজারও ব্যাঙ্গ-বিদ্রূপ। তবে হাল ছাড়েননি তাঁরা। শেষ শক্তিটুকু দিয়ে লড়ে গিয়েছেন। ফলে সাফল্যও এসেছে তাঁদের জীবনে।

মিশেল এবং নয়না, দু’জনেই সিলভার স্ক্রিনের চরিত্র। তবে রুপোলি দুনিয়ায় জন্ম হলেও আদতে এইসব চরিত্রের রূপায়ণ হয়েছে রূঢ় বাস্তবের উপর ভিত্তি করেই। আর দুই চরিত্রেই অভিনয়ের দিক থেকে ছক্কা হাঁকিয়েছেন রানি মুখোপাধ্যায় (rani mukherjee)। নিঃসন্দেহে বি-টাউনের শক্তিশালী অভিনেত্রীদের মধ্যে রানি অন্যতম। বিভিন্ন শেডের একাধিক চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। তবে তার মধ্যে ‘ব্ল্যাক’-এ মিশেল আর ‘হিচকি’-তে নয়না মাথুরের চরিত্র রানির কেরিয়ারে মাইলস্টোন হয়ে থাকবে।

আরও পড়ুন, অনলাইনে নয়, ডলবি থিয়েটারে হবে অস্কার

রানি নিজে ডিসেবল বা বিশেষভাবে সক্ষম মানুষদের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শিখেছেন অনেক কিছু। চরিত্রদের বাস্তবায়িত করতে গিয়ে নিজেকেও বদলেছেন। সেই সঙ্গে পাল্টেছে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি। ‘ওয়ার্ল্ড ডিসেবিলিটি ডে’-তে সেইসব অভিজ্ঞতার কথাই শেয়ার করলেন রানি। সেই সঙ্গে জানালেন, বিশেষভাবে সক্ষম মানুষদের সাফল্য, জেতার জন্য তাঁদের মরিয়া লড়াই নিয়ে আরও বেশি আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। সেই সঙ্গে বিশেষ ভাবে সক্ষম মানুষদের জীবনের গল্প বড় পর্দায় তুলে ধরার পরামর্শও দিয়েছেন রানি। তিনি চান বলিউডে এই ধরনের ছবি আরও হোক।

আরও পড়ুন, রিসেপশনে দীপিকা-রণবীরের অনুকরণেই কি সাজলেন আদিত্য-শ্বেতা?

‘ব্ল্যাক’ কিংবা ‘হিচকি’ ছাড়াও ‘গুজারিশ’, ‘বরফি’, ‘পা’-ডিসেবিলিটি নিয়ে অনেক সিনেমাই হয়েছে বলিউডে। আর প্রতিটি ছবিতেই অভিনেতারা নিজেদের সেরাটুকু দিয়ে চরিত্রের বাস্তবায়ন করেছেন। যেমনটা করেছেন রানি। তাঁর কথায়, “অনেক কিছু শিখেছি এইসব চরিত্রে অভিনয় করার সময়। আরও স্ট্রং হয়েছি নিজে। বদল এসেছে দৃষ্টিভঙ্গিতে। শত বাধা পেরিয়েও যে জীবনে সাফল্য আসে সেটা বুঝতে শিখেছি।”

রানি আরও জানিয়েছেন, ‘ব্ল্যাক’ এবং ‘হিচকি’ তাঁর কাছে ইমোশনাল জার্নি। দুই ছবির পরিচালকদের ধন্যবাদ জানিয়ে রানি বলেছেন, “এই সিনেমাগুলো করার সময় আবেগ দিয়ে বুঝতে শিখেছি যে সব মানুষ আসলে সমান। বিশেষভাবে সক্ষম আর বাকিদের মধ্যে ফারাক করাটা উচিত নয়। বরং ভেদাভেদ ভুলে ওই মানুষগুলোর সাফল্য নিয়ে আরও বেশি করে আলোচনা করা দরকার।”

Next Article