অমিতাভের নাতি অগস্ত্যকে ফ্লাইং কিস দিলেন রেখা, কোথায় ঘটল এমন?

শ্রীরাম রাঘবন পরিচালিত যুদ্ধ-নাট্যধর্মী ছবি ‘ইক্কিস’-এর প্রিমিয়ার সোমবার সন্ধ্যায় মুম্বইয়ে অনুষ্ঠিত হয়। বলিউডের বহু তারকা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। প্রবীণ অভিনেত্রী রেখা, সোনালি শাড়িতে সেজে অত্যন্ত এলিগ্যান্ট ভঙ্গিতে রেড কার্পেটে আসেন। তবে তাঁর সাজের থেকেও দর্শকদের নজর কেড়েছে ছবির প্রধান অভিনেতা অগস্ত্য নন্দার প্রতি তাঁর স্নেহপূর্ণ আচরণ। ২৫ বছরের অগস্ত্য হলেন অমিতাভ বচ্চন ও জয়া বচ্চনের নাতি।

অমিতাভের নাতি অগস্ত্যকে ফ্লাইং কিস দিলেন রেখা, কোথায় ঘটল এমন?

| Edited By: Bhaswati Ghosh

Dec 30, 2025 | 10:11 AM

শ্রীরাম রাঘবন পরিচালিত যুদ্ধ-নাট্যধর্মী ছবি ‘ইক্কিস’-এর প্রিমিয়ার সোমবার সন্ধ্যায় মুম্বইয়ে অনুষ্ঠিত হয়। বলিউডের বহু তারকা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। প্রবীণ অভিনেত্রী রেখা, সোনালি শাড়িতে সেজে অত্যন্ত এলিগ্যান্ট ভঙ্গিতে রেড কার্পেটে আসেন। তবে তাঁর সাজের থেকেও দর্শকদের নজর কেড়েছে ছবির প্রধান অভিনেতা অগস্ত্য নন্দার প্রতি তাঁর স্নেহপূর্ণ আচরণ। ২৫ বছরের অগস্ত্য হলেন অমিতাভ বচ্চন ও জয়া বচ্চনের নাতি।

রেড কার্পেটে পাপারাজ্জিদের তোলা ভিডিওতে দেখা যায়, রেখা প্রথমে প্রয়াত অভিনেতা ধর্মেন্দ্রর একটি পোস্টারের সামনে থেমে যান। তিনি নীরবে হাতজোড় করে মাথা নত করে কয়েক মুহূর্ত শ্রদ্ধা জানান। এরপর তিনি পোস্টারে থাকা অগস্ত্যের ছবির দিকে এগিয়ে যান—প্রথমে স্নেহভরে তাঁর মুখে হাত রাখেন এবং তারপর আশীর্বাদস্বরূপ একটি উড়ন্ত চুম্বন ছুড়ে দেন।

‘ইক্কিস’ প্রথমে বড়দিনে মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও, বক্স অফিসে ‘ধুরন্ধর’-এর রেকর্ডভাঙা সাফল্যের কারণে ছবিটির মুক্তি নববর্ষে পিছিয়ে দেওয়া হয়। এর আগে একটি বিশেষ স্ক্রিনিংয়ে অমিতাভ বচ্চন ছবিটি দেখেছিলেন এবং নাতির অভিনয়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন। নিজের ব্লগে তিনি লেখেন, “আবেগ বয়ে চলে… ঠিক যেমন আজ রাতেও বয়ে চলেছে, যখন নাতিকে ‘ইক্কিস’-এ অসাধারণ অভিনয় করতে দেখছি। সেই সময়ের কথা মনে পড়ে, যখন ওর মা শ্বেতাকে শেষ প্রসব যন্ত্রণায় ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল… ওর জন্ম… কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কোলে নেওয়া, আর আলোচনা হচ্ছিল ওর চোখ নীল কি না… একটু বড় হওয়ার পর তাকে কোলে নিয়ে দাঁড়ানো, যখন সে আমার দাড়ি নিয়ে খেলা করত… ধীরে ধীরে বড় হয়ে ওঠা… তারপর নিজস্ব সিদ্ধান্তে অভিনেতা হওয়ার পথ বেছে নেওয়া… আর আজ পর্দায় তাকে দেখে প্রতিবারই চোখ সরাতে না পারা, যখনই সে আসে, ফ্রেম পূর্ণতা পায়।”