
আজ ভাইফোঁটা। টলিউডে অভিনেতা-অভিনেত্রীরা অনেকেই এই উত্সবের আনন্দে মেতে উঠেছেন। গতকাল সন্ধে থেকেই ভাইফোঁটা পর্ব চলছে। প্রতি বছর ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর বাড়িতে ধুমধাম করে ভাইফোঁটার উত্সব হয়। এমনিতেই সকলকে নিজের বাড়িতে ডেকে খুব সুন্দর আয়োজন করে খাওয়াতে ভালোবাসেন এই অভিনেত্রী।
অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত জানালেন, ”ভাইফোঁটা আমার অত্যন্ত প্রিয় একটা বিষয়। ভাইদের নেমন্তন্ন করে খাওয়াতে খুব ভালোবাসি। শুধু আমার নিজের ভাই নয়, আমার সঙ্গে রক্তের সম্পর্ক নেই, কিন্তু যাঁদের সঙ্গে আমার দিদি-ভাইয়ের সম্পর্ক তাঁদের সকলের সঙ্গে এই দিনটায় সময় কাটাতে আমি খুব পছন্দ করি। আমাদের বাড়িতে ভাইফোঁটা একটা ঐতিহ্য। আমার ঠাকুমা এটার প্রচলন করেছিলেন। আমাদের ঠাকুমাকে অনেকে মুন্না বলে ডাকত। আবার অনেকে ফুলমণি বলে ডাকত। এরকম সব নামই ছিল আগে বাঙালি বাড়িতে। ঠাকুমাকে দেখেছি, ভাইফোঁটা মানে সকলে মিলে একটা উত্সবের আয়োজন করতেন তিনি। আমাদের পরিবার এত বড় ছিল, তখন আমরা সকলে-সকলকে চিনতাম। দূর সম্পর্কের আত্মীয়রা সকলে চলে আসত। সকলে মিলে একসঙ্গে খাওয়াটা ছিল দারুণ। সেই পরিবেশ হারিয়ে গিয়েছে। তা-ও চেষ্টা করি ভাইদের ডাকতে। এবং সবাইকে ভালো করে খাওয়াতে।
তবে এবারের ভাইফোঁটা সেভাবে সেলিব্রেট করতে পারলেন না নায়িকা। তাঁর এই দিনটায় মনখারাপ। ঋতুপর্ণা বললেন, ”এবারের ভাইফোঁটা আমার কাছে খুব ভারাক্রান্ত একটা বিষয়। কারণ মা চলে গিয়েছেন আগের বছর। মায়ের বাত্সরিক আসছে। তাই এবার ভাইফোঁটা দেবো না। তবে আমার শুভেচ্ছা ভাইদের সঙ্গে সব সময়ে থাকবে। সকলেই সেটা জানে। মায়ের আশীর্বাদ সব সময়ে সঙ্গে আছে জানি। তবে ভাইফোঁটার দিনটা মনখারাপ হচ্ছে।”
মায়ের মৃত্যু নায়িকার জীবনে অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি অনেক দিন গভীর শোকের মধ্যে ছিলেন। সেই সময়ে কোনও অনুষ্ঠানে যাননি। তবে একটা সময়ের পর কাজে ফিরেছেন। কর্মসূত্রেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানের অংশ হয়েছেন ঋতুপর্ণা। তবে সর্বদাই মায়ের অভাব অনুভব করেছেন। এবারের ভাইফোঁটার দিনটাও তার ব্য়তিক্রম নয়।