
সম্প্রতি রূপম ইসলামের ৬০তম একক ছিল শহরে। রূপমের শো মানেই বিপ্লব, প্রতিবাদের ভাষা যে শোয়ের প্রাণভোমরা। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে, এমন কিছু ঘটনা ঘটছে যা দেখে যে কোনও বুদ্ধিমান মানুষের অসহায় লাগার কথা। তেমন ঘটনা কি রূপমকে সৃষ্টিতে সাহায্য করে? TV9 বাংলার এই প্রশ্নের উত্তরে রূপম বললেন, ”আমি নতুন কিছু পাচ্ছি না। যা হচ্ছে সবই রিপিটেশন। ছোট থেকে এগুলোই দেখে আসছি। সেই কারণে আমার একক অনুষ্ঠানে কিছু নজির তুলে ধরেছি গানে-গানে, যা বুঝিয়ে দেবে সবটাই চর্বিত চর্বণ।” তার জন্য কি হতাশ লাগে? রূপমের উত্তর, ”আমি একজন শিল্পী। অবজেকটিভ থাকতে হবে। আমার কাজ ন্যারেট করা। সেটা করা শিল্পের ভাষায়। সবচেয়ে হতাশ লাগে কেন জন্মালাম।” এর ব্যাখ্যা করতে গিয়ে রূপম যোগ করলেন, ”জীবন প্রচণ্ড কষ্টের। একটা দুর্ঘটনা হলেও আমরা ভাবি, কাল সকালে ডাক্তার দেখিয়ে ঠিক করতে হবে। এমন একটা সময় আসবে, যখন ডাক্তার দেখিয়ে ঠিক করতে পারব না, সেই ভাবনাটাও চলে আসবে। জীবনের মূল হলো মৃত্যুমুখ। মৃত্যুমুখী একটা যাত্রা। কাজের মানুষরা ভাবতে থাকেন কতটুকু কাজ শেষ করতে পারবেন। যিনি পারফেকশনের পিছনে ছুটছেন, তিনি ভাবেন কতটা অ্যাচিভ করতে পারবেন। জীবন সামগ্রিকভাবেই ডিপ্রেসিং।কিন্তু আমার গানেই আছে আনন্দ খুঁটে খাই। সেটাই খুঁটে খাওয়ার চেষ্টা করি।” এমন একটা পৃথিবীতে রূপম নতুন প্রজন্ম মানে তাঁর ছেলেকে কী শিখিয়ে যেতে চান, সেই প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, বাংলা ভাষা। পুরো নতুন প্রজন্মকেই বাংলা ভাষা শেখাতে ইচ্ছা করে তাঁর, সেটা জানালেন গায়ক।