AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘উচ্চমানের মানুষই এমন দিনে দেহ রাখার ভাগ্য পায়’, জন্মদিনেই মাকে ‘মুক্তি’ দিলেন সায়নী

Saayoni Ghosh: জন্মদিনের ১২ দিন আগে মা'কে হারিয়েছেন তৃণমূলের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ। মায়ের অসুস্থতা-মৃত্যু নিয়ে অতীতে খুব বেশি বাক্যব্যয় না করলেও নিজেকে আটকাতে পারলেন না সায়নী। আজ অর্থাৎ শনিবার, ২৭ জানুয়ারি তাঁর জন্মদিন।

'উচ্চমানের মানুষই এমন দিনে দেহ রাখার ভাগ্য পায়', জন্মদিনেই মাকে 'মুক্তি' দিলেন সায়নী
| Edited By: | Updated on: Jan 27, 2024 | 8:04 PM
Share

জন্মদিনের ১২ দিন আগে মা’কে হারিয়েছেন তৃণমূলের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ। মায়ের অসুস্থতা-মৃত্যু নিয়ে অতীতে খুব বেশি বাক্যব্যয় না করলেও নিজেকে আটকাতে পারলেন না সায়নী। আজ অর্থাৎ শনিবার, ২৭ জানুয়ারি তাঁর জন্মদিন। ৩২ বছর পূর্ণ করলেন তিনি। আর একই সঙ্গে শেষ হল জন্ম-মৃত্যুর এক বৃত্ত। নিজের জন্মদিনেই আয়োজন করলেন মায়ের পারলৌকিক কাজ। একই সঙ্গে মুখোমুখি হলেন এক চরম সত্যের। নেত্রীর দাবি, তাঁর মায়ের আত্মা আলোক পথে চলে গিয়েছে। মুক্তি ঘটেছে তাঁর।

আবেগঘন সায়নী লিখেছেন, “মা, আজ থেকে বত্রিশ বছর আগে ঠিক এই দিনে তুমি আমাকে ভূলোকের আলো দেখিয়েছিলে, বত্রিশ বছর পর আজ ঠিক একই দিনে তোমাকে আমি ব্রহ্মলোকের আলোকপথে এগিয়ে দিলাম। তোমার আসীম জ্ঞান, বুদ্ধিমত্তা, সকল জীবের প্রতি পরম স্নেহ, পরোপকারি মন, সরল স্বভাব, অতি সাধারন জীবনযাপন, পরিবার পরিজনের প্রতি দায়িত্ববোধ, নিরলস কর্ম ও সংসার সাধনা, অপরিসীম সহ্যশক্তি, প্রাণ খুলে হাসার ক্ষমতা, আনন্দে থাকা ও আনন্দে রাখার ক্ষমতা আমাকে মন্ত্রমুগ্ধ করেছে বার বার॥ বছরের পর বছর শত মানসিক ও শারীরিক কষ্টকে উপেক্ষা করে হাসি মুখে লড়াই করে চলা, সত্যি এক সাধারণ মেয়ের অসাধারণ মা তুমি।”

View this post on Instagram

A post shared by Saayoni Ghosh (@sayanigh)

সায়নীর গুরু তাঁকে জানিয়েছেন, যে মুহূর্তে বা যে দিনে তাঁর মা প্রয়াত হয়েছেন একমাত্র উচ্চমানের মানুষই এমন দিনে দেহ রাখার ভাগ্য পান। সায়নী নিজেও তা বিশ্বাস করেন। তিনি আরও লেখেন, “গুরু বলেছেন, তুমি উত্তরায়ণের মুহুর্তে যাত্রা করেছো। একমাত্র খুব উচ্চমানের মানুষরাই এমন দিনে দেহ রাখার ভাগ্য পায়। তোমার আত্মা আলোক পথে চলে গেছে । সমস্ত কর্মের অবসান হয়েছে, পূর্ণ মুক্তি।” না, আর পিছুটান নয়, হিন্দুবিধি মেনে সমস্ত বন্ধন থেকে মা’কে মুক্ত করে দিয়েছেন সায়নী। লিখেছেন, “শুভ যাত্রা”। সামনেই লোকসভা ভোট। অনেক দায়িত্ব রয়েছে সায়নীর। সে দিকে মনোনিবেশ করতে হবে তাঁকে। তাই স্মৃতি আঁকড়ে ধরে থাকা নয়, ‘এগিয়ে চলা জীবন’ এই ভাবনাতেই বিশ্বাসী হয়ে আগামী দিনে এগিয়ে যেতে চাইছেন তিনি। মা’যে তাঁর সঙ্গেই আছেন, সঙ্গে আছে তাঁর শুভেচ্ছা ও ভালবাসা, তা তো তিনি নিজেও জানেন। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে প্রয়াত হয়েছিলেন সুদীপা ঘোষ। শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে গত ১৫ জানুয়ারি মারা যান তিনি।