এমনিতেই সলমন খানের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে প্রাণনাশের হুমকি। লরেন্স বিষ্ণোই তো একেবারে হাত ধুয়ে পিছনে পরে গিয়েছে সলমনের। কিন্তু সলমন, নিজেকে কড়া নিরাপত্তার মোড়কে রেখে একেবারেই রয়েছেন নিশ্চিন্তে। প্রাণনাশের হুমকি নিয়ে একেবারেই দুশ্চিন্তায় নন তিনি। তবে সেই সলমনরই একবার পা কেঁপে উঠেছিল মৃত্যুকে চোখের সামনে দেখে। যা আজও মনে পড়লে, ভাইজানের মন কেঁপে ওঠে।
সম্প্রতি ভাইপো আরহান খানের পডকাস্টে সেই মারাত্মক অভিজ্ঞতার কথাই অনুরাগীদের সঙ্গে শেয়ার করে নিলেন সলমন খান। সলমন জানান, শ্রীলঙ্কা থেকে বিমানে ফিরছিলাম। আমার সঙ্গে ছিল সোনাক্ষী ও সোহেল। হঠাৎ বিমান খুব জোরে কাঁপতে শুরু করে। বিমানসেবিকারা জানান, আবহাওয়ার কারণে এমনটা হচ্ছে। হঠাৎ জানতে পারি, পরিস্থিতি নিয়ে বেশ চিন্তিত খোদ বিমানচালক। নিজের চোখে দেখি, বিমানসেবিকা হাত জোড় করে ঈশ্বরকে ডাকছে। আচমকা অক্সিজেন মাস্কগুলো খুলে মুখের সামনে এসে পড়ে। তখন তো ভেবেছিলাম, ব্যস, আজকেই আমার শেষ দিন। সেদিনকে খুব ভয় পেয়েছিলাম। মৃত্যুকে সামনে থেকে দেখেছিলাম।
সলমন আরও বলেন, তবে এখানে একটা মজার ঘটনাও ঘটে। আমি আর সোনাক্ষী যখন ভয়ে কাঁপছি। তখন সোহেল, আমার পাশের সিটে বসে গভীর ঘুমে। আমার খুব অবাক লেগেছিল।
গতবছর এপ্রিল মাসে হঠাৎই সলমনের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে গুলিবর্ষণ চলে। তবে কপাল জোরে সলমন বেঁচে যান। এই হামলার নেপথ্যে ছিল গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই দল। এই হামলার নেপথ্যে থাকা দুই ব্যক্তি পুলিশের হাতে আটকও হয়েছেন। তবুও মাঝে মধ্যে মুম্বই পুলিশের হোয়াটসঅ্যাপে, কিংবা থানায় সলমনের নামে প্রাণনাশের হুমকি আসে। বার বার প্রাণনাশের হুমকি পাওয়ায় সলমনের নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে। এমনকী, সিকন্দর ছবির শুটিংও চলছে কড়া নিরাপত্তার মোড়কে।