‘নিজেকে খুব সুন্দরী মনে হয়’, ঐশ্বর্যকে সামনে পেয়ে চরম অপমান সলমনের!
একসময় তাদের প্রেম যখন তুঙ্গে, তখন সলমন প্রায় প্রতি রাতেই ঐশ্বর্যের সেটে আসতেন এবং পরদিন সকালে ফিরে যেতেন। তবে এই গভীর অনুরাগই একসময় চরম ‘পজেসিভ’ আচরণে পরিণত হয়, যা ইন্ডাস্ট্রির অজানা ছিল না। সম্পর্কের তিক্ততা যখন চরমে, তখন ঘটে এক অপ্রীতিকর ঘটনা।

একসময় বলিউডের সবথেকে চর্চিত ‘পাওয়ার কাপল’ ছিলেন সলমন খান এবং ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। সঞ্জয় লীলা বনশালির ক্লাসিক ছবি ‘হাম দিল দে চুকে সনম’-এর সেটেই শুরু হয়েছিল তাদের সেই রূপকথার প্রেম। কিন্তু সেই প্রেমের স্থায়িত্ব ছিল অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত। সম্প্রতি এক পডকাস্টে অভিনেত্রী হিমানি শিবপুরী এই প্রাক্তন জুটির সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করেছেন।
এই পডকাস্টে হিমানি জানান, একসময় তাদের প্রেম যখন তুঙ্গে, তখন সলমন প্রায় প্রতি রাতেই ঐশ্বর্যের সেটে আসতেন এবং পরদিন সকালে ফিরে যেতেন। তবে এই গভীর অনুরাগই একসময় চরম ‘পজেসিভ’ আচরণে পরিণত হয়, যা ইন্ডাস্ট্রির অজানা ছিল না। সম্পর্কের তিক্ততা যখন চরমে, তখন ঘটে এক অপ্রীতিকর ঘটনা। হিমানি শিবপুরী স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে জানান, রোহন সিপ্পির একটি প্রজেক্টে অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে শ্যুটিং করছিলেন ঐশ্বর্য। সেই সময় আচমকাই সেখানে হাজির হন সালমান এবং ঐশ্বর্যের প্রতি নিজের ক্ষোভ উগরে দেন।
সলমনের সেই মুহূর্তের মেজাজ বর্ণনা করে হিমানি বলেন, সলমন তখন চিৎকার করে বলছিলেন, “কী ব্যাপার? একে বোঝাও। ও যেন ওয়াহিদা রেহমানকে দেখে শেখে। ও নিজেকে খুব সুন্দরী মনে করে!”হিমানি আরও জানান, তিনি সেই সময় সলমনকে শান্ত করার এবং চুপ থাকার অনুরোধ করেছিলেন।
নয়ের দশকের শেষের দিকে খবরের শিরোনাম কেড়ে নেন এই দুই তারকা। সলমন খানও বহু সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরীর প্রতি তার ভালোবাসার কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করেছিলেন। কিন্তু পর্দার সেই রসায়ন বাস্তবে দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। শেষ পর্যন্ত তিক্ততার মধ্য দিয়েই ইতি ঘটে বলিউডের অন্যতম এই আলোচিত এই প্রেমের গল্পের।
