
সাংসদ-অভিনেত্রী শতাব্দী রায় এবার তাঁর জীবনের এক না বলা প্রেমের কথা সামনে আনলেন। শতাব্দী একটা ভিডিয়োতে বললেন, ”আমি এক গায়কের প্রেমে পড়েছিলাম। কিন্তু তাঁকে কোনওদিন বলতে পারিনি। তখন একটা গানের মধ্যে সে সরি শব্দটা বলেছি। সেই সরি শুনে আমার মনে হতো, পুরো প্রেমে পড়ে গিয়েছি।”
এরপর গায়কের একটা সাক্ষাত্কার বের হয় বিনোদন ম্যাগাজিনে। শতাব্দীর কথা শুনে বোঝা গেল, সেখানে গায়কের ছবি দেখে শতাব্দীর প্রেম আরও বেড়ে গিয়েছিল। গায়কের মা অভিনেত্রী ছিলেন। শতাব্দী তাঁর কাছে গায়কের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। নায়িকার বক্তব্য, ”আমার বয়স তখন ১৭-১৮। আমি ভাবছি গায়কের বয়স কি ২৫? তা হলে বিয়ে হবে। এদিকে তাঁর মা বললেন, তিনি আমার চেয়ে অনকে বড়। আমি বললাম, ‘হতে পারে না!’ তাঁর মা অবাক। তিনি বলছেন, গায়কের বয়স কত সেটা তো তিনি জানবেনই”।
গায়কের জন্য শুটিং ছেড়ে একদিন টালিগঞ্জের স্টুডিয়োতে পৌঁছে গেলেন নায়িকা। কিন্তু এরপরই গল্পে টুইস্ট। গায়ক সেখানে প্রবেশ করার পর তাঁকে দেখে একদমই ইমপ্রেসিভ লাগেনি নায়িকার। তাই তিনি কথা না বলে চলে এসেছিলেন। শতাব্দীর বক্তব্য, ”আপনারা এই গল্পটা জানলেন। কিন্তু গায়ক কোনওদিন জানতে পারলেন না, আমি তাঁর প্রেমে পড়েছিলাম। তাঁর জন্য আমি কীরকম পাগল ছিলাম। পরেও তাঁর গান শুনেছি।” এই গায়কের নাম কী, সেটা অবশ্য অনুরাগীদের খুঁজে বের করতে বলেছেন অভিনেত্রী। তা নিয়েই এখন টলিপাড়ায় বিস্তর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।