‘শ্রোতারা নির্বোধ, কিশোর কুমারের ‘সাইয়ারা’ শোনা উচিত নয়’, বিস্ফোরক শান

সাম্প্রতিক যে প্রবণতাটি তৈরি হয়েছে, যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এমনভাবে গান তৈরি করছে যেন অন্য কোনও গায়ক তা গেয়েছেন, তার তীব্র সমালোচনা করেছেন গায়ক শান।। এই প্রক্রিয়াটিকে সাধারণত AI ভয়েস ক্লোনিং বলা হয়। শান বলেন, “AI খুবই নিষ্ঠুর হয়ে ওঠে যখন তারা এই ধরনের কাজ করে।” AI টুল ব্যবহার করে এখন ব্যবহারকারীরা পুরোনো গানের রিমিক্স আর কভার তৈরি করছে, যেখানে পরিচিত ট্র্যাকে অন্য শিল্পীদের কণ্ঠ বসিয়ে গানটিকে নতুন সুর, রিদম ও হারমোনিতে রূপান্তর করছে।

শ্রোতারা নির্বোধ, কিশোর কুমারের সাইয়ারা শোনা উচিত নয়, বিস্ফোরক শান

| Edited By: Bhaswati Ghosh

Sep 04, 2025 | 1:00 PM

সাম্প্রতিক যে প্রবণতাটি তৈরি হয়েছে, যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এমনভাবে গান তৈরি করছে যেন অন্য কোনও গায়ক তা গেয়েছেন, তার তীব্র সমালোচনা করেছেন গায়ক শান।। এই প্রক্রিয়াটিকে সাধারণত AI ভয়েস ক্লোনিং বলা হয়। শান বলেন, “AI খুবই নিষ্ঠুর হয়ে ওঠে যখন তারা এই ধরনের কাজ করে।” AI টুল ব্যবহার করে এখন ব্যবহারকারীরা পুরোনো গানের রিমিক্স আর কভার তৈরি করছে, যেখানে পরিচিত ট্র্যাকে অন্য শিল্পীদের কণ্ঠ বসিয়ে গানটিকে নতুন সুর, রিদম ও হারমোনিতে রূপান্তর করছে।

এক সাক্ষাৎকারে, শান AI গানের এই ভয়েস সুইচ প্রবণতাকে “নিষ্ঠুর” এবং প্রয়াত গায়কদের স্মরণ করার ভুল পদ্ধতি বলে আখ্যা দেন, যেখানে প্রয়াত শিল্পীদের কণ্ঠ AI টুলের মাধ্যমে নতুন গানে বসানো হচ্ছে। তিনি বলেন, “দর্শকরা এতটাই নির্বোধ যে তাঁরা আসল শিল্পীদের সঙ্গে এই AI কণ্ঠের তুলনা করছেন। AI দিয়ে তৈরি হচ্ছে এমন গান – যেমন ‘এই গানটি যদি কিশোর দা গাইতেন’, তা হলে কেমন হতো…। অথচ ৪০-এর দশক, ৬০-এর দশক, আর ৮০-এর দশকের গানের ধরন একেবারেই আলাদা ছিল। তাঁরা যদি আজকের দিনে গান গাইতেন, সেটাও আলাদা রকম হতো।” শান আরও বলেন, “যাঁরা এত ডায়নামিক ছিলেন, সেই ধরনের শিল্পীর কণ্ঠ কৃত্রিমভাবে তৈরি করা উচিত নয়। এটা ভুল, আপনি ধরছেন কোনও শিল্পীর চারটি গানের টোন এবং তারপর সেটা দিয়ে অসংখ্য ট্র্যাক ও কাভার বানিয়ে দিচ্ছেন। এটা ঠিক নয়।”

শান শ্রোতাদের “নির্বোধ” আখ্যা দিয়ে বলেন, AI-র কণ্ঠস্বরকে আসল গায়কদের সঙ্গে তুলনা করা অন্যায়। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, নতুন প্রজন্ম AI দিয়ে যদি কিশোর কুমারের কণ্ঠে ‘সাইয়ারা’ গান তৈরি করে, তা খুবই অন্যায়। তিনি অনুরোধ জানান সংগীতপ্রেমীদের প্রতি, “এই ধরনের AI গান শোনা বন্ধ করুন। বরং কিশোর কুমারের আসল গান শুনুন, যেগুলো তিনি নিজে গেয়েছিলেন, যা তাঁর গলার স্বর থেকে বের হয়েছে, তাঁর অনুভূতি থেকে এসেছে। এই ধরনের কৃত্রিম গান শোনা উচিত নয়।” তিনি আরও বলেন, “আমি শুধু বলছি, এটা করা উচিত নয়। নতুন প্রজন্ম কিশোর কুমারের কণ্ঠে ‘সাইয়ারা’ শুনছে কিংবা অন্য কোনও গান, এটা ঠিক নয়। তাঁদের উচিত কিশোর কুমারের সময়ে গাওয়া গান শোনা, যেগুলো তিনি নিজে গেয়েছেন, নিজের সৃষ্টিশীলতা থেকে। হ্যাঁ, এগুলো শোনা উচিত, অন্যগুলো নয়।” লক্ষণীয় আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর মুম্বইয়ে শান মঞ্চে উঠবেন কিংবদন্তি কিশোর কুমারের সুরকে শ্রদ্ধা জানাতে। এই প্রথমবার শান সম্পূর্ণ একটি অনুষ্ঠান উৎসর্গ করছেন সেই কিংবদন্তিকে, যাঁকে তিনি মনে করেন তাঁর সংগীত যাত্রার মূল অনুপ্রেরণা।