গৌরীর বাড়ির নীচে দাঁড়িয়ে থাকতেন শাহরুখ, চিৎকার করে গাইতেন এই গান
Shahrukh Khan: শাহরুখ এবং গৌরীর বাড়ির দূরত্ব ছিল অনেকটাই। প্রত্যেকদিন তাঁর বাড়ির নীচে দাঁড়িয়ে থাকতেন শাহরুখ এবং গাইতেন, "গোরি তেরা গাঁও বড়া পেয়ারা..." জোরে-জোরে এই গান গাইতেন শাহরুখ। কখনও হয়তো বারান্দা থেকে উঁকি দিতেন গৌরী। গৌরীকে এক ঝলক দেখে সেখানেই শান্তি খুঁজে পেতেন শাহরুখ। স্বীকার করেছিলেন কিং খান।
বলিউডের বাদশাহ শাহরুখ খানের ছোটবেলার সুইট হার্টের নাম গৌরী খান। তাঁকেই বিয়ে করেছিলেন শাহরুখ। তাঁর সঙ্গে সংসার পেতে সুখী হয়েছেন কিং খান। তবে জানেন কি, গৌরীকে পাওয়ার জন্য কম বেগ পেতে হয়নি শাহরুখকে। গৌরী ছিলেন দিল্লির বর্ধিষ্ণু পরিবারের কন্যা। শাহরুখ ছিলেন নিম্ন-মধ্যবিত্ত। স্কুলজীবনে তাঁদের আলাপ হয়। একটা সময় গৌরীর বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকতেন শাহরুখ। কেবল তাই নয়, গৌরীর জন্য গানও গাইতেন বাড়ির নীচে দাঁড়িয়ে। ভাবতে পারছেন?
শাহরুখ এবং গৌরীর বাড়ির দূরত্ব ছিল অনেকটাই। প্রত্যেকদিন তাঁর বাড়ির নীচে দাঁড়িয়ে থাকতেন শাহরুখ এবং গাইতেন, “গোরি তেরা গাঁও বড়া পেয়ারা…” জোরে-জোরে এই গান গাইতেন শাহরুখ। কখনও হয়তো বারান্দা থেকে উঁকি দিতেন গৌরী। গৌরীকে এক ঝলক দেখে সেখানেই শান্তি খুঁজে পেতেন শাহরুখ। স্বীকার করেছিলেন কিং খান।
শাহরুখের উন্মাদনা দেখে গৌরী একবার তাঁর থেকে নিস্তার পেতে চেয়েছিলেন। পালিয়ে চলে এসেছিলেন মুম্বইয়ে। পকেটে কয়েকটা মাত্র টাকা নিয়ে গৌরীর পিছু-পিছু এসেছিলেন শাহরুখও। গৌরী সমুদ্র সৈকত পছন্দ করতেন। ফলে প্রত্যেকদিন আরব সাগরের বিভিন্ন বিচে গৌরীকে খুঁজতেন শাহরুখ। তাঁর বন্ধুরা বলতেন, “এইভাবে গৌরীকে খুঁজে পাবি না। দিল্লি ফিরে চল। ওকে ভুলে যা।”
মন খারাপ করে দিল্লি ফিরে আসার দিন শেষবারের মতো সমুদ্রের পাড়ে গিয়েছিলেন শাহরুখ। তখনই গৌরীর সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। শাহরুখকে দেখে তাঁর প্রতি ভালবাসা বুঝতে পারেন গৌরী। তারপর থেকে আর তাঁরা আলাদা হননি। এটাই এই কাহিনীর হ্যাপি এন্ডিং।