বুধবার সইফ আলি খানের বাড়িতে হামলা চালায় শরিফুল ইসলাম। ইতিমধ্যেই পুলিশের জালে ধরা পড়েছে আততায়ী। চলছে দফায় দফায় চলছে জেরা। আর তাতেই এবার সামনে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। মহম্মদ শরিফুল ইসলামের বাংলাদেশে অপরাধের রেকর্ড আছে কিনা খুঁজতে তৎপর মুম্বই পুলিশ। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করার আর্জি জানিয়ে, বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে ইতিমধ্যেই যোগাযোগ করছে মুম্বই পুলিশ। সূত্রের খবর, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছে মেঘালয়ের ডাউকি নদী পেরিয়ে ভারতে ঢুকেছিল সরিফুল ইসলাম।
পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায় কয়েক সপ্তাহ থেকে আধার কার্ড বানানোর চেষ্টা করেছে শরিফুল। কিন্তু পারেনি। খুকুমণি জাহাঙ্গীর শেখ নামে এক ব্যক্তির আধার কার্ড ব্যবহার করে পশ্চিমবঙ্গে প্রথম ভারতীয় সিম বের করে আততায়ী। এরপরই পাড়ি দেয় মুম্বইয়ে। সূত্রের খবর শরিফুল, পেশায় লেবার কন্ট্রাক্টর। অমিত পান্ডে নামে এক ব্যক্তি, হোটেল এবং পাবে হাউস কিপিং-এর কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়তা করে তাকে।
গ্রেফতারির পর প্রাথমিকভাবে নিজেকে কলকাতার বাসিন্দা বলে দাবি করেছিল শরিফুল। কিন্তু তাঁর ফোন ঘেঁটে নিয়মিত বাংলাদেশ ফোন কলের রেকর্ড পাওয়া যায়।সেই ফোন নম্বরে সূত্র ধরেই বাংলাদেশে শরিফুলের ভাইদের সঙ্গে যোগাযোগ করে মুম্বই পুলিশ। চাওয়া হয় বাংলাদেশের নাগরিক পরিচয় পত্র। এখন বিদেশ মন্ত্রকের সহায়তায় শরিফুল বাংলাদেশে কোন অপরাধ করে ভারতে পালিয়ে এসেছে কিনা তা জানার চেষ্টা করছে মুম্বই পুলিশ।