
২৪ জুলাই, বাঙালির কাছে এক আবেগঘন দিন। এদিনই বাংলা চলচ্চিত্র জগত হারিয়েছিল তার ম্যাটিনি আইডলকে। মহানায়ককে। উত্তম কুমারকে। পর্দায় যাঁর উপস্থিতি আজও প্রাণবন্ত, সেই মানুষটিই চিরঘুমের দেশে। নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারেননি অনেকেই। ঠিক একইভাবে বিশ্বাস করতে পারেননি শর্মিলা ঠাকুরও। কত ছবি একসঙ্গে, তাঁদের মধ্যে গড়ে উঠেছে বন্ধুত্বের সম্পর্ক, সবটাই যেন পলকে থমকে যায়। আনন্দলোক-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেছিলেন, “প্রথম যখন খবরটা পেলাম তখন আমার কেমন লেগেছিল আমি বুঝতে পারিনি। সকাল ৭টার সময় এক মহিলা সাংবাদিক টেলিফোন করে আমার ‘রিয়্যাকশন’ জানতে চাইলেন।
আমি জিজ্ঞেস করলুম ‘কীসের প্রতিক্রিয়া?’ তিনি বললেন, আপনি জানেন না উত্তমকুমার মারা গেছেন?’ আমার মনটা একেবারে অসাড় হয়ে গেল!”
প্রথম উত্তম কুমারকে কোথায় দেখেছিলেন তিনি? উত্তরে শর্মিলা ঠাকুর জানান, ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ ছবিতে প্রথম তাঁকে দেখি। দেখামাত্র মনে হয়েছিল– উনি আমাকে জয় করে ফেলেছেন। অনেক বছর পরে কানন দেবীর স্বামী হরিদাস ভট্টাচার্যের ছবি ‘শেষ অঙ্ক’-তে তাঁর সঙ্গে অভিনয় করি। তারপরে অবশ্য আরও অনেক ছবি একসঙ্গে করেছি। সবচেয়ে বেশি মনে আছে সত্যজিতের নায়ক-এর কথা। ‘কলঙ্কিনী কঙ্কাবতী’তে আমি উত্তমের পরিচালনায় কাজ করেছি। তিনি ছিলেন রাজার মতো, স্বভাবে স্বাধীন।”
কেবল শর্মিলা ঠাকুরই নন, উত্তর কুমারের চলে যাওয়ায় শোকে পাথর হয়েছিলেন প্রতিটা মহিলা অনুরাগী। আচমকাই এভাবে এক সুপারস্টারের মৃত্যু! কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই সব শেষ! চোখের জলে ভেসেছিল সেদিন গোটা বাংলা।