প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী মিতা হক, সাংস্কৃতিক মহলে শোকের ছায়া
হাসপাতাল সূত্রে খবর, বিগত পাঁচ বছর ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। চলত ডায়ালিসিও। পাশপাশি কিছুদিন আগে করোনায় আক্রান্ত হলে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় তাঁকে।
প্রয়াত হলেন কিংবদন্তী রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী মিতা হক। রবিবার সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ ঢাকার এক বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান তিনি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বিগত পাঁচ বছর ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। চলত ডায়ালিসিও। পাশপাশি কিছুদিন আগে করোনায় আক্রান্ত হলে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় তাঁকে।
দিন কয়েক আগে তাঁর কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ হওয়ার তাঁকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। যদিও শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে মিতাকে আবারও ভর্তি করার হয় হাসপাতালে। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। তাঁর মৃত্যুতে দুই বাংলাতেই নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
লেখক তসলিমা নাসরিন সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “…মেয়েদের আরবীয় বোরখা সংস্কৃতি গ্রহণ করার সমালোচনা করেছিলেন, সে কারণে তাঁকে কম নিগ্রহ হতে হয়নি…কতবার ভেবেছি তাঁকে ইনবক্সে জানাবো, কতটা শ্রদ্ধা করি তাঁকে, কতটা ভালবাসি তাঁকে। জানানো হয়নি। আমাদের অনেক জরুরি কাজে বড্ড দেরি হয়ে যায়।” শোকপ্রকাশ করেছেন সঙ্গীতশিল্পী রুপঙ্কর বাগচীও। পরিচালক শতরূপা সান্যাল লিখেছেন, “আমার সকাল শুরু হয় মিতা হকের রবীন্দ্রসঙ্গীত দিয়ে… বড় দরদী প্রাণ।”
১৯৬২ সালে ঢাকায় জন্ম হয় মিতা হকের। গান গেয়েছেন ২০০-রও বেশি রবীন্দ্রসঙ্গীতে। ২০১৬ সালে শিল্পকলা পদক তাঁর ঝুলিতে আসে। তিনি বাংলাদেশের রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মেলন পরিষদের সহ সভাপতিও ছিলেন।