গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার থেকে ফের আলোচনার কেন্দ্রে বাংলাদেশের সঙ্গীতশিল্পী নোবেল। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ মদ্যপ অবস্থায় মঞ্চে গান গাইতে উঠেছিলেন তিনি। এবার তাঁকে নিয়ে বিস্ফোরক স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ। এমন ঘটনায় তিনি অবাক। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “নোবেল আগে নমাজ পড়ত। মঞ্চে ওঠার আগেও নমাজ পড়া বাদ যেত না। এমনকি, সারেগামাপা অনুষ্ঠানে সবাইকে বসিয়ে রেখেও নমাজ পড়েছে ও। কী ভাবে এতটা বদলে গেল ও? ভাবতেই পারছি না।” সালসাবিল নিশ্চিত, নোবেল যা করছেন তা মোটেও শারীরিক সমস্যা নয়। সবটাই মানসিক। তিনি যোগ করেন, “ওর যদি কোনও শারীরিক সমস্যা হত, তা হলে আমি নিশ্চিত, মানুষ ওর জন্য প্রার্থনা করত। কিন্তু এই সমস্যাটা মানসিক, তা-ও আবার মদের কারণে। নোবেল প্রথম থেকে এমন ছিল না। আমি নিজেই চিনতে পারছি না এই নোবেলকে।” ঠিক কী ঘটেছিল অনুষ্ঠানে? কেন নোবেলের দিকে জলের বোতল থেকে জুতো ছুড়ল দর্শক?
ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের ফুলবাড়ি ডিগ্রি কলেজে। সেখানেই সঙ্গীত পরিবেশনা করার কথা ছিল গায়কের। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, রাত ৯টায় মঞ্চে ওঠার কথা থাকলেও তিনি ওঠেন প্রায় সাড়ে ১১টা নাগাদ। ততক্ষণে দর্শকদের মধ্যেও বিরক্তি বাসা বেঁধেছে। এখানেই শেষ নয়। গান গাওয়ার সময়েই একটা সময় কথা জড়িয়ে যেতে থাকে তাঁর। শেষ বসেও পড়েন। ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োগুলিতে দেখা যাচ্ছে এমনটাই। উত্তেজিত জনতা এরপরেই তাঁর দিকে ছুড়ে মারেন চটি থেকে বোতল। কলেজ কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় কোনওক্রমে মঞ্চ ত্যাগ করেন নোবেল।
একের পর এক বিতর্ক। জীবন জুড়ে শুধুই সমালোচনা। স্ত্রীর সঙ্গেও সম্পর্ক তাঁর তলানিতে। অথচ ভালবেসেই বিয়ে করেছিলেন দু’জনে। কিছু দিন আগে তাঁর এক পোস্ট নিয়ে শুরু হয়েছিল হইচই। তাঁর ফেসবুক পোস্টে নোবেল লেখেন, “সব অঘটন আমার সঙ্গেই ঘটেচ্ছে। হৃদয় ভেঙে গিয়েছে, মাদক আর মদ। মাথায় ৭০টা সেলাই পড়েছে। আমার প্রাক্তন স্ত্রী সেই কারণে খুশি হয়েছে।” এখানেই থামেননি তিনি। আরও লেখেন, “কেরিয়ার ধ্বংস হয়ে গিয়েছে আমার, শুধুমাত্র মৃত্যুই এখন বাকি আছে। তোমাকেও স্বাগত প্রিয়। তোমাকেও গ্রহণ করে নেব।” নোবেলের ওই পোস্টের পরেই শুরু হয়ে নানা জল্পনা। তবে কি বড় কোনও পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন তিনি? ফ্যানেরা আর্জি জানান, হতাশা থেকে বেরিয়ে তিনি যেন আবারও নতুন ভাবে সবটা শুরু করেন। কেউ আবার তাঁর এই অবস্থার জন্য তাঁকেই দায়ী করেন। আশার আলো দেখিয়ে একজন লেখেন, “ভাইয়া নিজের দোষে আজকে সবকিছু হারিয়েছেন মানুষ আপনার ট্যালেন্ট কে ভালোবাসতো ঠিকই কিন্তু আপনি নিজে নিজের ক্যারিয়ার ধ্বংস করেছেন তবে এখনও নিজেকে শুধরে নিন দেখবেন সব ভালো হবে । ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস রেখে নিজে ভালো পথে চলুন সব ভালো হবে”। কিন্তু নোবেল যে শুধরে যাননি এই ঘটনাই যেন তা আরও একবার প্রমাণ করছে। চলছে নিন্দা-সমালোচনা। নোবেল যদিও এখনও নিরুত্তাপ।