‘সেল সেল সেল… সেলেবস্ (মনে রাখবেন শিল্পী নয়) অন সেল…’। ফেসবুকে ঠিক এভাবেই বৃহস্পতিবার সকালে নিজের মনের ভাব প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী (Actress) শ্রীলেখা মিত্র (sreelekha mitra)। নিঃসন্দেহে তাঁর সহকর্মীদের আচরণ দেখেই এই মন্তব্য করেছেন শ্রীলেখা। বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, তত প্রকট হচ্ছে দল বদলের রাজনীতি। টলিউডের শিল্পীরাও একের পর এক যোগ দিচ্ছেন বিভিন্ন দলে। তাঁদের প্রতিই কি এই ইঙ্গিত?
প্রশ্নের সরাসরি জবাব দিলেন শ্রীলেখা। “নিশ্চয়ই। এ তো আইপিল চলছে। যে দল বেশি টাকা দিচ্ছে, সেই দলের কাছে চলে যাচ্ছে। এরা সব সেলেব। আর্টিস্ট নন। শিল্পীকে কেনা যায় না। শিল্পী নিজের শ্রম বিক্রি করেন। নিজেকে বিক্রি করেন না। সেলেব শব্দটা নিজের ক্ষেত্রে প্রয়োগে বরাবরই আপত্তি করেছি আমি।”
Sale…sale…sale …celebs ( mind you not artists) on sale
Posted by Sreelekha Mitra on Wednesday, February 17, 2021
হঠাৎ নির্বাচনের মুখে টলিউডের এই দলবদলের রাজনীতিকে কীভাবে ব্যখ্যা করবেন শ্রীলেখা? তাঁর স্বীকারোক্তি, “ক্ষমতা আর টাকার লোভে দলে দলে যোগ দিচ্ছে। আমাকেও টাকা দিয়ে কিনতে চাওয়া হয়েছিল। আমি বরাবরই ইমপালসিভ। অফার শুনেই এত রাগ হয়ে গেল, বাজারে আমার দর কত, তা আর জানা হল না।”
বুধবার অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত, সৌমিলি বিশ্বাস, পাপিয়া অধিকারী সহ একঝাঁক সিনেমা ও টেলি তারকা বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র হাত ধরে পদ্ম শিবিরে যোগ দিয়েছেন। অন্যদিকে কিছুদিন আগেই দীপঙ্কর দে, ভরত কল, সৌরভ দাসের মতো অভিনেতারা যোগ দিয়েছেন ঘাসফুল শিবিরে। আবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছেন রুদ্রনীল ঘোষ।
আরও পড়ুন, সন্দীপ্তার ট্রাভেল ডায়েরি, কোথায় বেড়াতে গিয়েছেন তিনি?
দল বদলের এই মঞ্চে শ্রীলেখা মিত্রের অবস্থান ঠিক কোথায়? অভিনেত্রীর উত্তর, “মানুষের পাশে থাকার জন্য তো রাজনীতির দরকার হয় না। আমি যখন আমফানের পর ত্রাণ নিয়ে গিয়েছিলাম, কুকুরদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা করি, তখন তো রাজনীতি লাগে না। আমি একা নই, আমার সঙ্গে বহু সাধারণ মানুষ এই সব কাজ করেন।”
গত বেশ কিছুদিন ধরে বামফ্রন্ট আয়োজিত কিছু অনুষ্ঠান মঞ্চে শ্রীলেখা মিত্রকে দেখা গিয়েছে। সাধারণ দর্শকের প্রশ্ন, হঠাৎ তিনি বাম রাজনীতি নিয়ে এত সরব কেন? শ্রীলেখা বললেন, “আমি বরাবরই বাম মনোভাবাপন্ন। বিভিন্ন মঞ্চে গিয়েছি ঠিকই। কিন্তু আমি দলের সদস্য নই। আর এখন যা পরিস্থিতি সবটাই তো প্রকাশ্যে। তবে আমি বামেদেরও সমালোচনা করি। এখন যে সব সেলেব বিভিন্ন দলে যাচ্ছেন, তাঁরা যখন বিয়েতে ঘটা করে তৎকালীন নেতা-মন্ত্রীদের নিমন্ত্রণ করেছিলেন, সেই সব বিয়েতে নেতাদের যাওয়া উচিত হয়নি। এই সমালোচনাও কিন্তু করছি আমি।”
আরও পড়ুন, ঘরোয়া অনুষ্ঠানে রেজিস্ট্রি, বিয়ে করলেন সায়ন্তনী-ইন্দ্রনীল